এশিয়ানবার্তা: সব সরকারের মধ্যেই সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার একটা ঐক্যবদ্ধ মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
বিবিসি বাংলার প্রবাহ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সম্প্রতি ব্রহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০০১ সাল থেকে ১৩ বছরের মধ্যে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২০ হাজারেরও বেশি। আর চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৩শ’টি হামলার ঘটনা ঘটে।
বিবিসি বাংলার প্রবাহ অনুষ্ঠানে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সব সরকারের মধ্যেই সংখ্যালঘু বিতাড়ণের প্রবল ঐক্যমত রয়েছে। যেটা আমি জন্মের পর থেকেই দেখে এসেছি। কারণ, আমি জন্মগ্রহণ করেছি ব্রিটিশ ইন্ডিয়ায়, তারপরে বাঙ্গালি, তারপরে বাংলাদেশি, এই সকল জায়গা থেকে আমি বারবার দেখেছি ধর্ম নিরপেক্ষতা।
তিনি আরও বলেন, এখানে একটা মজার বিষয় আছে সেটা হলো, সাম্প্রদায়িক অসাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদি উগ্রসাম্প্রদায়িক যে সরকারিও থাকুক না কেন, হিন্দু বিতাড়িত বা ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিতাড়িত করতে তাদের মধ্যে প্রবল ঐক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা মনে করছেন, অতীতে বিভিন্ন হামলার ঘটনার বিচার না হওয়ায় এসব হামলা থামানো যাচ্ছে না। হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এর আলাদা আইনে প্রয়োজনের কথাও বলা হয়েছে। তবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মনে করেন, এখানে আইনের সমস্যা নয়, সমস্যা রাজনৈতিক মানসিকতার।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে খারাপ প্রচারণা ছড়াতে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত প্রমাণ না করেই হামলা চালনো হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পাবনাসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলার বিষয় টেনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দোষ না দিয়ে এই সকল বিদ্বেষমূলক আচরণ থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। নয়তো এই সকল সমস্যা থেকেই যাবে বলে তিনি মনে করেন।
Leave a Reply