শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: পরিবারের ৪ জন মানুষের দুবেলা পেটের ভাত জোগাড় করা যেখানে কঠিন, সেখান থেকে হান্নান স্বপ্ন দেখেন আলোকিত মানুষ হওয়ার। ৩ বিঘারও কিছু কম আবাদী জমি চাষ করে হান্নানের ৪ সদস্যের পরিবারের ভরণ পোষন চলে। এর মধ্য থেকেও বঙ্গবন্ধু’র অন্ধভক্ত এই হান্নান দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পরিশ্রম করে ইট, পাথর আর সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করেছেন বিশাল আকৃতির বঙ্গবন্ধ’র ভাস্কর্য।
বগুড়া শেরপুরের শিবপুর গ্রামে হান্নানের জন্ম। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত গ্রামের স্কুলে ঘোরাঘুরির পর সাংসারিক অভাব অনটনের কারণে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। পেটের তাগিদে সারা দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও হান্নান একজন আলোকিত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন। কৃষি কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজের কোন অভিজ্ঞতা নেই তার। তবুও ইট, পাথর আর সিমেন্ট নিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর পরিশ্রম করে তিনি তৈরি করেছেন বিশাল আকৃতির বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। যা পেশাদার শিল্পীদের তৈরি ভাস্কর্য’র চেয়ে মোটেও অবহেলিত নয়। হান্নান শুধু ভাস্কর্যটি তৈরী করেননি সাড়ে ৩ বছর রাত জেগে সেটিকে পাহাড়াও দিয়েছেন।
হান্নানের সাথে কথা বলে জানা গেছে এটা তৈরি করতে তার প্রায় ১লক্ষ ২০হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ২২ শতক আবাদী জমি বিক্রি করে সে এই টাকা জোগাড় করেছেন। তিনি আরো বলেন, কোন লাভের আশায় এই ভাস্কর্য তৈরি করিনি। এটা আমার শখ। টাকা পয়সা নয়। আমি আমার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ নিয়ে বেঁচেন থাকতে চাই।
একটা ভাঙ্গা ঘরের মধ্যে তিনি ভাস্কর্যটাকে রেখেছেন কারুকার্যমন্ডিত একটা কাঠের সোকেসে’র মধ্যে। এখন তার একটাই চাওয়া বঙ্গুবন্ধু’র কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে ভাস্কর্যটি তুলে দিতে পারলেই তার পরিশ্রম স্বার্থক।
Leave a Reply