গোপালগঞ্জ থেকে হুসাইন ইমাম সবুজ: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়নে সংখ্যালঘুদের উপর বার-বার অত্যাচার ও নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। বিচারের দাবীতে মানববন্ধন, বাজার বর্জন ও স্কুল বয়কট করেছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। ফলে শিক্ষা অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র কওে গত বুধবার মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির হিন্দু শিক্ষার্থী শাওন বাইন ও ৪র্থ শ্রেণির মুসলিম শিক্ষার্থী তানজিলা খানমের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় তানজিলার বাবা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মন্টু সরদার শাওন বাইনকে স্কুল ক্যাম্পাসে মারপিট করে। পরে মন্টু সরদার তার ভাই আকবর সরদার, বশার সরদার ও হেলাল সরদার ওই হিন্দু শিক্ষার্থীকে টেনে হিচড়ে নিয়ে ননীক্ষীর বাজারে গিয়ে তার বাবা পূর্ণ চরন বাইনকে সকলের সামনে বেধড়ক মারপিট করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত পূর্ণ চরন বাইনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ননীক্ষীর ও মহিসতলী গ্রামের লোকজনের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বারবার তাদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের বিচার না পেয়ে দুই গ্রামের সংখ্যালঘুরা গত বৃহস্পতিবার একত্রিত হয়ে সিদ্ধাস্ত নেয় তারা ননীক্ষীর স্কুলে তাদের সন্তানদের পড়াবেনা। এবং ননীক্ষীর বাজারে যাওয়া থেকে তারা বিরত থাকবেন।
এদিকে সংখালঘুদের বাজার বয়কটের কারনে সমস্যায় পড়েছে ননীক্ষীর, মহিসতলীসহ আসপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ। তারা বাজারে গিয়ে মাছ, সবজীসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কিনতে পারছেন না।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ননীক্ষীর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিনা বললেন, ঘটনাটি শুনে আমি ঢাকা থেকে চলে এসেছি। আমি স্থানীয় লোকদের ডেকেছি। বিকালের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করে ফেলবো এবং ভবিষ্যতে যাতে সমস্যা আর না বাড়ে সেদিকেও লক্ষ্য রাখবো।
https://youtu.be/AbWpmNXGyK8
https://youtu.be/R3U5JUmBokE
Leave a Reply