রাজশাহী থেকে মঈন উদ্দীন: রাজশাহীর পবা উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র আদিবাসী পরিবারের কেউ পায়নি প্রধানমন্ত্রীর ফেয়ার প্রাইজের ১০ টাকা দরের চালের কার্ড। কার্ডের আওতায় এনে চাল দেয়ার আবেদন করেছেন ভুক্তভোগিরা। পাশাপাশি তারা স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ও স্বচ্ছল পরিবারকেও তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহতি উদ্যোগ হতদরিদ্রের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। রাজশাহীর প্রায় সবক’টি উপজেরায় বিশেষ অন্যায্যদের মাঝে কার্ড দেয়ার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। সেদিক থেকে বাদ পড়েনি পবা উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হতদরিদ্ররা।
এদের মধ্যে আবার দুইপাড়া মিলে প্রায় ১২৫টি পরিবার আদিবাসী। এই ওয়ার্ডে পাকা ফ্ল্যাট বাড়ি, শিক্ষককের স্ত্রী এবং একই পরিবারের দুই থেকে চারজন কার্ড পেয়েছেন। বিশেষ করে ওয়ার্ডের ঘি-পাড়া গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনা। এই গ্রামের একই পরিবারের ইজারত আলীর চার ছেলে আবেদ আলী, ফাবেদ আলী, রসুল আলী এবং কান্ডু মন্ডল কার্ড পেয়েছেন। কার্ড পাননি আদিবাসী বষস্ক এবং পঙ্গু ব্যক্তিও। কার্ড পেয়েছেন নওহাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের স্ত্রী লাইলা ইয়াসমিন। তিনি স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলে কর্মরত আছেন। এমন অসংগতিতে ভরা এই ওয়ার্ডের ১০ টাকা কেজি দরের চালের নামের তালিকা।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি’র সদস্য মোজাহার আলী বলেন, প্রকৃতপক্ষে নামের তালিকা করেন স্থানীয়রা নেতারা। বিস্তর সম্পদশালীদের নাম থাকায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আমি শুধু ২০-২৫ জনের নাম সংশোধন করেছি। তবে এখনো যতটুকু অসংগতি আছে পরবর্তীতে ঠিক করা হবে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আখতার ফারুক বলেন, প্রথমত বুঝে উঠতে না পারায় কিছুটা কমবেশী হয়েছে। আমি জেনে আদিবাসীদের মধ্যে দুইজনের মাতৃত্বকালিন ভাতার নাম পাঠিয়েছি। এছাড়াও নির্ধারিত নামের তালিকা থেকে দুইজন আদিবাসীকে এই কার্ড দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
উপজেলা প্রশাসনে আদিবাসীদের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে পবা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসএম আশরাফুল হক তোতা বলেন, তিনি ওই কমিটিতে সংশ্লিষ্ট না। তবুও তাদের আবেদন পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা, তিনি এবং ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আপাতত: দুইজন আদিবাসীকে কার্ডের অর্ন্তভূক্ত করাসহ আগামী ৫ মাস পরের নামের তালিকায় তাদেরকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
Leave a Reply