সিরিজে সমতা আনার লক্ষ্য নিয়ে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
রোববার দিবা-রাত্রির ম্যাচটি শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যথারীতি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২১ রানে পরাজিত হয়। যেখানে তারা স্কোরবোর্ডে শেষ ১৭ রান সংগ্রহ করতেই হারায় শেষ ৬টি উইকেট। এটা বেশ হতাশাজনকই বলতে হবে। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাতেই এমনটা হয়েছে বলেই সবার মতো।
ম্যাচটিতে ওপেনার ইমরুল কায়েস শতক করেন। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও খেলেন ৭৯ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস। তবে দলের পরাজয়ে তাদের এ উজ্জ্বল দুটি ইনিংস অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক ভক্ত-সমর্থকরা আবার প্রশ্ন তুলছেন কেন দলের একাদশে নাসির হোসেনকে রাখা হচ্ছে না? অনেকের অভিমত প্রথম ম্যাচে নাসির থাকলে হয়তো ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত। বিশেষ কোন কারণে ১৪ জনের স্কোয়াডে নাসির থাকার পরও তাকে সাইড বেঞ্চেই বসে থাকতে হয়। বেশিরভাগ সময়ই তাকে মাঠে পানি টানতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ যদি প্রথম ম্যাচটিতে জিতে যেত তাহলে হয়তো এমন কোনো প্রশ্ন আসত না। তবে যেহেতু শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এমন জেতা ম্যাচটি তাদের হাতছাড়া হয়েছে তাই প্রশ্নটি চলেই আসছে। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে মোশাররফ হোসেনের বাজে পারফর্ম সবার চোখে লেগেছে। বল হাতে ব্যর্থ, ফিল্ডিংয়েও ছেড়েছেন বেন স্টোকসের ক্যাচটি।
এদিকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দলের একাদশে নাসিরকে নেয়ার ব্যাপারে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। তার কথার থেকেও কোনো আশার বাণী শোনা যায়নি। তিনি বলেন, “কার জায়গায় খেলবেন নাসির?”
পাপন আরো বলেন, “নাসিরকে আনতে হলে সরাতে হবে মোশাররফ হোসেনকে। একজন বাঁহাতি স্পিনার দিয়ে ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে খেলা…ওদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপে যেখানে চারজন হিটার ব্যাটসম্যান রয়েছেন, কঠিনই হয়ে যাবে।”
তবে যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের আজকের ম্যাচে একমাত্র লক্ষ্যই হবে জয়। কেননা ঘরের মাঠে সিরিজটির ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। আর ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এ ম্যাচে জয়ের জন্য সবরকম পরিকল্পনাই তৈরি রেখেছে মাশরাফিরা। দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলারও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।
ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়েও সিরিজে জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজটি তাই বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণার কাজই করবে। তবে ক্রিকেটে যেকোনো সময়ই যে কোনো কিছু হতে পারে। তাই আগে থেকেই বলা যাচ্ছে না ম্যাচটি কাদের ফেবারে যাবে।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ ম্যাচের মধ্যে তিন জয় থাকলেও ঢাকায় কোনো জয় নেই বাংলাদেশের।
Leave a Reply