স্টাফ রিপোর্টার:সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী বেড়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের প্রায় হাজারটি ফলোজ বনোজ সহ প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার মহা উৎসব শুরু হয়েছে। সরজমিন ঘুরে রুপবাটি ইউনিয়নের বাঘাবাড়ী বেড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের রামখারুয়া, চয়ড়া পুরান পাড়া ও চয়ড়া নতুন পাড়া এলাকা সংলগ্ন বাধ থেকে গাছগুলো কেটে নিয়েছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড এর লোকজন তিন দিনের মধ্যে গাছ কেটে সরিয়ে ফেলার নিদের্শ দেওয়ার পর পরেই লুটেরেরা বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী যোগ সাজসে প্রায় কোটি টাকা মুল্যের গাছ কেটে নিয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে বড় পিট ও ডাইকে গাছ গুলি কেটে ফেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি বর্তমান হুমকির মুখে পড়েছে । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঁধ এলাকায় বাঘাবাড়ী সিমেন্ট কারখানা থেকে চয়ড়া পর্যন্ত বাঁধের দুই পাশের আম, কাঁঠাল, ইউক্যালিপ্টাস, নারকেল, তালগাছ, নিমগাছ যার যার বাড়ীর সামনে থেকে কেটে নিয়েছে। চয়ড়া গ্রামের নাম না প্রকাশের শর্তে এক জন জানান, পাউবোর লোকজন গাছ কেটে ফেলতে বলেছেন, এমন গুজবের ভিত্তিতে অন্যান্যদের মত তিনিও গাছ কেটেছেন, একই গ্রামের আলী হোসেন, কাজিম আলী, আলাউদ্দিন, আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে ছয় থেকে সাতটি বড় বড় আমগাছ কেটে ফেলে । একদিকে করাতদিয়ে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। অন্যদিকে তড়িঘরি করে ট্রলি ও ভ্যান গাড়ি দিয়ে গাছ সরিয়ে ফেলানো হচ্ছে। স্থানীয়রা আরও জানান, যেহেতু বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাড়ি চয়ড়া গ্রামেই। এসব গাছ কাটার পিছনে নির্বাহী প্রকৌশলী সহ অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। কিছু কর্মকর্তার , কয়েকদিন ধরে দিধাচ্ছে গাছ কেটে ফেলা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা যেন নির্বিকার , পানি উন্নয়ন বোর্ড এর অবহেলা ও নিরব ভুমিকা প্রায় কোটি টাকার গাছ খোয়া গেছে। এ ব্যপারে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নিবার্হী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের গাছ এভাবে কেউ কেটে নিতে পারে না। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply