তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) থেকে আশরাফুল ইসলাম (অাসিফ) : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বড়মাঝদক্ষিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগিয়েছে ও ঘর নিমার্ন করেছে প্রভাবশালী ভুমিদস্যু বেল্লাল হোসেন। এ নিয়ে বড়মাঝদক্ষিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাঝদক্ষিনা কে.আর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিটির সদস্যরা সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বড়মাঝদক্ষিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাঝদক্ষিনা কে.আর উচ্চ বিদ্যালয় ৫৮ শতক জায়গা জায়গা উপর প্রতিষ্ঠিত। ছোট মাঝদক্ষিনা মৌজার আরএস খং নং-৮৭,আরএস দাগ নং ২৮৭,এর ৫৮ কাতে ০.৪০ শতক সম্পত্তি মাঝদক্ষিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে নইমুদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন ও আনার উদ্দিনের ছেলে মো. মনছের আলী ১৯৮৩ সালে ৩৮৪ নং দলিলে বড়মাঝদক্ষিনা কে.আর উচ্চ বিদ্যালয়ের সেক্রেটারীর কাছে হস্তান্তর করেন। সে মোতাবেক ওই প্রতিষ্ঠানের নামেই জমির সম্পুর্ন খাজনা ও খারিজ করা হয়। কিন্তু বড়মাঝদক্ষিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে কোন সীমানা প্রাচীর নেই।
এর পাশ দিয়ে পুর্ব দিকে যাওয়ার পাকা রাস্তা করার ফলে বিদ্যালয়ে সম্পত্তি দিখন্ডিত হয়ে পড়ে। রাস্তার উপর বিদ্যালয়ের প্রায় ৬শতক জায়গা চলে যায়। আর ওপর পাশে প্রায় ২১ শতক জায়গা পতিত রয়ে যায়। সেখানে ওই গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভুমিদস্যু বেল্লাল হোসেন গংরা প্রভাব খাটিয়ে জোরপুর্বক ইউক্যালিপটাস গাছ লাগিয়ে দখল করে। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করে। এ নিয়ে বড়মাঝদক্ষিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাঝদক্ষিনা কে.আর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিটির সদস্যরা সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।
এ বিষয়ে বড়মাঝদক্ষিনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা আরজুমান্দ বানু বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের সম্পত্তি তারা জোরপুর্বক দখল করেছে। উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার গিয়ে সম্পত্তির জায়গা তদন্ত করেছেন। তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো.মুনছুর উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। এ বিষয়টি মুলত দেখবেন ইউএনও মহোদয়। তারপরেও আমি নিজে সেখানে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করব।
Leave a Reply