রাজশাহী প্রতিনিধি : ‘তার সারা গায়ে ছিল সিগারেটের ছ্যাকা। নি-নাঙ্গ রক্তাত্ব ছিল। পায়ের একটি এবং হাতের একটি আঙ্গুল ছিলনা। সারাগায়ে ছিল অমানসিক নির্যাতনের ছাপ। যারা লাশের গোসল করিয়েছে তারাই এ বর্ননা দিয়েছেন।’ এমন তথ্য জানালেন মহিলা পরিষদের জেলা সভাপতি কল্পনা রায়।
রাজশাহী মহানগরীর নগরীর চন্ডিপুর এলাকায় মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু মোসা: নুরি খাতুন এ্যানি ধর্ষন ও হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত করে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। এ দলের সদস্য জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট দিল সেতারা চুনি।
তিনি জানান, এলাকাবাসী যে বর্ননা দিয়েছে তাতে মনে হয়েছে শিশুটির ওপর চুড়ান্ত নির্যাতন করা হয়। তাকে একাধিক ব্যাক্তি ধর্ষণ করে থাকতে পারে। লাশের পায়ে রক্তাত্ব ছিল। সারশরীরে কালশিরা পড়ে ছিল। পায়ের একটি এবং হাতের একটি আঙ্গুল ছিল না। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছে সারা রাত লাশ পড়েছিল। যে কারনে ইঁদুর বা চিকা আঙ্গুল খেয়ে নিতে পারে।
রাজপাড়া থানার ওসি আমান উল্লাহ জানান, শিশুটি গ্যাংরেপের শিকার হয়েছিল কিনা তা চুড়ান্ত ময়না তদন্ত রিপোর্ট পওয়ার পরে জানা যাবে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) এই মামলাটি নিজে তদারকি করছেন। এটিকে বিশেষ রিপোর্টেড মামলা হিসেবে গন্য করা হচ্ছ্। বৃহস্পতিবার রাতে ১১ বছর বয়স মেয়েটির চাচা স্বপন আলী থানায় মামলা করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একজনকে আটক করা হয়। পরে আরো একজনকে আটক করা হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি ওসি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকার পরিত্যক্ত একটি ভবনের ঝোপ থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক এনামুল হক বলেন, ‘ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। তার গলায় ফাঁস ও শরীরের তিনটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
Leave a Reply