কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে টি এম কামাল: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা ও ইছামতি নদীর চরাঞ্চলে লাভজনক ফসল মচির চাষে ঝুঁকে পড়েছে চরাঞ্চলের কৃষকরা। যমুনা ও ইছামতি নদীতে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে কোমর বেঁধে মচির চাষে নেমে পড়েছে ওই এলাকার চাষীরা। নাব্যতাহ্রাস পাওয়ার কৃষকরা চরাঞ্চলে আলু, গম, মরিচ, সরিষাসহ ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছে যা পথচারীদের দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে।
কাজিপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোনামুখী, চালিতাডাঙ্গা, মাইজবাড়ী, কাজিপুর সদর, মাইজবাড়ী, শুভগাছা, খাসরাজবাড়ী, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ ও মনসুরনগর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বিভিন্ন চর এলাকায় কৃষকরা যমুনা ও ইছামতি নদীতে পানি চলে যাওয়ার সাথে সাথে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রবিশস্য গম, আলু, মরিচ, সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। ওই এলাকার কৃষকরা জানান, চলতি বছরে দু’দফা বন্যায় তাদের আউশ ও রোপা আমন ধান, মাষকালাই, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন নদীতে পানি নেই।
তাই তারা এই লাভজনক ফসল দিয়ে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে জানায়। কৃষকরা আরো জানায়, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েক দফা রাসায়নিক সারের দাম কমিয়ে কৃষকের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এনেছে। কৃষক হাত বাড়ালেই হাট-বাজারে রাসায়নিক সার পেয়ে থাকে। সম্প্রতি বিনামূল্যে সার-বীজ দিয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রহমান বলেন, চরাঞ্চলে কৃষকরা এই ফসলগুলো দিয়েই লাভবান হয়। এবার চলতি মৌসুমে ১৪’শ ১০ হেক্টার জমিতে ৯ হাজার ৮১৫ জন কৃষক মরিচের আবাদ করেছেন। মোট ২ হাজার ৩শ’ ৯৭ মেঃটন মরিচ উৎপাদন হবে। প্রতি হেক্টারে ১.৬ মেঃটন মরিচ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফসলগুলো ঠিকমত হলে কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
Leave a Reply