গাইবান্ধা আরিফ উদ্দিন: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতাল পরিবারদের পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ রোববার আইন শৃংখলা কমিটির সভায় এ তথ্য জানান।
এজন্য ৬ মে. চাল এবং ৫০ হাজার টাকা জরুরী ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ১শ’ ৫০টি পরিবারের মধ্যে এই ত্রাণ প্যাকেজে খাদ্য সহায়তা বাবদ চাল, ডাল, তেল ও আলু প্রদান করা হয়।
এছাড়া গৃহহীন ছিন্নমুল সাঁওতাল পরিবারদেরকে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ি এলাকায় ১০ একর খাস জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। যেখানে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়া হবে। তদুপরি ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতাল পরিবারদেরকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে উপজাতীয় নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বিশেষ উন্নয়ন রিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে। যাতে তারা আর্থিক ও সামাজিকভাবে উন্নত জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতাল পরিবারদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ৬ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বোর্ডের ফরম ফিলাপ করার সুযোগ পেয়েছে। রোববার জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ ওই এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ ও তৎপরতায় উচ্ছেদকে কেন্দ্র সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদারপুর ও জয়পুর গ্রামের ভীত সন্ত্রস্ত্র সাঁওতাল পরিবারদের মধ্যে কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
এছাড়া দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পারগানা পরিষদ কর্তৃক শনিবার ৪শ’ সাঁওতাল পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি আলু বিতরণ করে। গোবিন্দগঞ্জের পৌর মেয়র দিল আফরোজ বানু সুইটি কর্তৃক ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৪শ’ সাঁওতাল পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, ১ কেজি ডাল বিতরণ করেন।
অপরদিকে গোবিন্দগঞ্জ আসনের এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও শাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাকিল আহমেদ বুলবুলের বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালরা তাদের ত্রাণ সহায়তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
Leave a Reply