সিরাজগঞ্জ এইচ এম মোকাদ্দেস: চলনবিলের বন্যার পানি নামার সাথে সাথে কতিপয় প্রভাবশালী পানি প্রবাহের মুখে অবৈধ সোঁতি জাল পেতে লাখ লাখ টাকার মাছ নিধন করা হচ্ছে। সেই সাথে উজানের মানুষের বসত ভিটা ভেঙ্গে বিলের পানিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর এলাকার অনেকেই প্রসাশনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু ফলাফল শুন্য।
কৃষকদের অভিযোগ প্রভাবশালীরা এ বছর বিলের তলায় পানি প্রবাহ বন্ধ করে জাল পেতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আগামী রবি শস্য সরিষা, গম, রসুন ও ভুট্টা’র প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমির আবাদ হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হয়েছে। জানাগেছে, চলনবিলের নাটোরের সিংড়া-গুরুদাসপুর, নওগাঁর আত্রাইবিলের একমাত্র পানি প্রবাহের পথ সিরাজগঞ্জের তাড়াশের আত্রাই নদীর শাখা সাইড খালে উপজেলার কুন্দইল গ্রামের ব্রীজের সামনে প্রভাবশালী ছাড়দুল হোসেন, সুলতান হোসেন, সবুজ, সোহেল, গোলবার
হোসেন, আনেছসহ প্রায় ৪০জন, স্কুল সংলগ্ন মুজা সরদার, আল মাহমুদ, আরিফ আহম্মেদ, বুলবুল হোসেন, লাবু, মুকুল, শাহীন প্রাং ও ভুট্টো আলীসহ ৩৫জন এবং কুন্দইল গ্রামের দক্ষিন পাশে মজিদ, রবিন, মালেক, শামিম, ছইদুরসহ প্রায় ২০জন প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে সুতিজাল দিয়ে মাছ নিধন করছে। এসকল স্থানে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার বাঁশ ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে পানি প্রবাহের মুখে অতি সুক্ষè জাল পেতে মাছ ধরছেন।
এ ছাড়া ভেটুয়া খালে ২টি অবৈধ সোঁতি জাল পাতায় চলনবিলের কৃষকের রবি শষ্য আবাদ এরই মধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে। আর এসব জালের ফাঁস এতই ছোট যে পোনা মাছ থেকে শুরু করে বড় ধরনের মা মাছও রেহাই পাচ্ছে না। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এ বছর প্রায় কোটি টাকার মাছ ধরার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা কুন্দইলসহ চলনবিল এলাকার খাল-বিল দখল করেছে।চলনবিলের কৃষকেরা জানান, পানি প্রবাহের গুরুত্বপূর্ণ পথে ওই সোঁতি জালগুলো পাতায় স্বাভাবিক কারণেই পানি
নামতে দেরি হবে। ফলে চলনবিলের বৃহত্তর অংশের প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে রবি শস্য চাষ করা সম্ভব হবেনা। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদের পূর্বেই কয়েকটি সোঁতি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আবারো অভিযান চালানো হবে।
Leave a Reply