শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পেলো ৮ম শ্রেনী ও হাফেজী মাদরাসায় পড়া দুই ছাত্রী। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক পৃথক পৃথক মেয়াদে কনের পিতা ও বরের ভগ্নিপতিকে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের ধনকুন্ডি ও নিশিন্দারা গ্রামে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে দ্রত এলাকায় যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম সরোয়ার জাহান। তিনি প্রথমে সিমাবাড়ীর ধনকুন্ডি এলাকার আজগর আলীর বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করেন। তার ৮ম শ্রেনীতে পড়া মেয়ের সাথে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বনমরিচা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে সুমনের (২০) বিয়ের আয়োজন চলছিল।
এ সময় তিনি সেখানে পৌছার আগেই বর সহ বিয়ে বাড়ির সবাই পালিয়ে গেলেও সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মেয়ের পিতা আজগর আলীকে ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে তিনি জানতে পারেন পাশেই নিশিন্দারা গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসা ছাত্রীর সাথে ধনকুন্ডি এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে আইয়ুব আলীর (১৬) বিয়ের খবর। সেখান থেকে নিশিন্দারা পৌছার আগেই বিয়ে বাড়ীর লোকজন খবর পেয়ে সবাই পালিয়ে যায়। পরে বরের ভগ্নিপতি রায়গঞ্জ উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে সাহেদ আলী (৩৮) কে ৫দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম সরোয়ার জাহান জানান, বেশ কিছুদিন হলো শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় গোপনে বাল্য বিয়ে দেয়ার খবর পাচ্ছিলাম। এর পূর্বে কয়েকটি বিয়ে বাড়ীতে অভিযান চালিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। কাল (শুক্রবার) বাল্যবিয়ের সংবাদ পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কনের পিতা ও বরের ভগ্নিপতিকে সাজা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply