ভোলার (তজুমদ্দিন) থেকে মোহাম্মদ তন্ময় : ভোলার তজুমদ্দিনের জনসাধারণ প্রতিদিন নানা কার্যাবলী সম্পূর্ণের লক্ষ্যে পাড়ি দিতে হয় প্বার্শবর্তী উপজেলা লালমোহন। এই সুদূর যাতায়াতে যাএীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেন দীর্ঘদিন। তজুমদ্দিনের কয়েক সহস্র মানুষের ব্যবসা-বানিজ্য, উন্নত চিকিৎসা,শিক্ষা-দীক্ষা,লেন-দেন,বিদুৎ সংক্রান্ত বিষয়বলী সহ নিত্য প্রয়োজনী জিনিস পএের জন্য একমাএ নিকটবর্তী প্রাণ কেন্দ্র হয়ে দাড়িয়েছে লালমোহন।
কিন্ত দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন তজুমদ্দিন থেকে লালমোহন যাতায়াতে পরপর চারটি বাহন পাড়ি দিয়ে পৌঁছতে হচ্ছে লালমোহন। গত কয়েক মাস থেকে জনসাধারনের কঠিন দূর্ভোগের স্বীকার, এদিকে কারো চোঁখ পড়ছে না বলে অভিযোগ যাএীদের। যাএীরা যেমন ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে তদ্রুপ ভোঙ্গান্তী স্বীকার কোনো অংশে কম নয় বলে জানান যাএীরা। তরুন প্রজন্মের পাশাপাশি বৃদ্ধ শ্রেণীর লোকদের ভোঙ্গান্তীতে হেঁটে, রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে পাঁড়ি দিতে হচ্ছেন গন্তব্য।
লাইন পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কাছে জানা গেছে- হাজির হাট নামক বাজারে অটোচালিত বোরাক চালকদের সাথে যাএী উঠানো সংক্রান্ত বিষয়ে দুই পক্ষের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।সেই সংঘর্ষের পর থেকে লাইনের গাড়ি পুরোপুরি বদ্ধ হয়ে যায়।পূর্বের সময়ে সরাসরি একটি গাড়ি পাড়ি দিয়ে লালমোহন পৌঁছতে সম্ভব হতো। বর্তমানে তজুমদ্দিন থেকে বোরাক যোগে দক্ষিন খাসের হাট,সেখান থেকে হাজির হাট,হাজির হাট থেকে দালাল বাজার,অতঃপর দালাল বাজার থেকে লালমোহন ইস্টেশনে যাএীরা পৌঁছতে প্রায় ২ঘন্টা সময় লেগে যায়।উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ চাঁরটি গাড়ি পরিবর্তন করে লালমোহন গন্তব্য পৌঁছে।
এর মধ্যে এক বোরাক স্টেশন হতে অন্য বোরাক ইস্টেশনের দূরন্তে হাঁটতে হয় ।এ বিষয়ে লালমোহন লাইন পরিচালনার লালু মিয়া দৈনিক ভোলা টাইমসের মোহাম্মদ তন্ময়কে জানান- বহুদিন থেকে লালমোহন থেকে তজুমদ্দিন লাইনে গাড়ি পএিকা ও যাএী নিয়ে সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু আমাদের লাইনের গাড়িগুলোকে অটোচালিত বোরাক চালকেরা রাস্তা ক্রসে বাঁধা, লাইনের গাড়ি থাকা সত্যেও জোড়পূর্বক যাএী উঠিয়ে নেই বোরাকে।এ ধরনের নানা বিষয় নিয়ে বোরাক চালকদের সাথে ঝগড়ার খবর প্রতিদিন আমাদের কাছে আসতো।
কয়েক মাস আগে যাএী সংক্রান্ত বিষয়ে বোরাক চালকের সাথে গাড়ির ড্রাইভারের সাথে ঝগড়ার সৃষ্টিতে বোরাক চালকেরা একজোট হয়ে তজুমদ্দিনে কোন গাড়ি ডুকলে ভাংচুরের হুমকি দেয়। তারপর থেকেই তজুমদ্দিন লাইন বন্ধ। তাছাড়া তাদের টানাহেছরার জন্য আমাদের লাইনের গাড়ি সীমিত যাএী পায় অধিকাংশ যাএী তারা নিয়ে নেয়।এভাবে আমাদের লাইন চালাতে হিমসীম মাঝেও পরিচালনা হয়ে এসেছিল। কাউকে এই বিষয় জানানোর প্রশ্নের জবাবে বলেন- আমরা তজুমদ্দিন লাইন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ,সেখানকার স্থানীয় চেয়্যারম্যানকে জানানো হয়।তারা বোরাক সমিতির সাথে মিটিং ঢেকে ইহার সমাধান দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো কোন সাড়া দেয়নি বলে জানান লালু।
Leave a Reply