1. aknannu1964@gmail.com : AK Nannu : AK Nannu
  2. admin@asianbarta24.com : arifulweb :
  3. angelhome191@gmail.com : Mahbubul Mannan : Mahbubul Mannan
  4. info@asianbarta24.com : Dev Team : Dev Team
রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

দুপচাঁচিয়া সারপুকুরে বিল্ডিং কোড অমান্য করায় প্রতিপক্ষের নামে আদালতে মামলা 

  • আপডেট করা হয়েছে : শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩
  • ১১৭ বার দেখা হয়েছে

 

মোসাব্বর হাসান মুসা স্টাফ রিপোর্টার বগুড়াঃ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সারপুকুর বাজারে রফিকুল ইসলাম বিল্ডিং কোড না মানায় আদালতে মামলা করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।নোটিশ পেয়েও তোয়াক্কা না করে রফিকুল ইসলাম আদেশ না মানায় তিনি বিল্ডিং এর কাজ করেই যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে গতকাল সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আবুল কাশেম পিতা মফিজ উদ্দিন সাং শ্রীপুর সারপুকুর বাজার তিনি তার সহধর ভাইয়ের নামে আদালতে একটি পিটিশন মোকদ্দমা নং ১৫৫ পি ২০২৩ দায়ের করেছেন।

উক্ত মামলার মাননীয় আদালতের আদেশ মোতাবেক দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর সহায়তায় এএসআই সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সকল ধরনের কাজ বন্ধ রাখার জন‍্য ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার লক্ষে নোটিশ প্রদান করেছেন।

উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির পরেও তিনি কোন খুঁটির জোরে বিল্ডিং এর কাজ করছেন তা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তিনি জানান আমিও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছি। জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের হিসাবে ইতিপূর্বে আবুল কাশেম সর্দার বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অনুরূপ একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোবিন্দপুর মোঃ সাখাওয়াত হোসেন স্বাক্ষরিত ১৯-২-২০২৩ তারিখের একটি কারণ দর্শানো ও বসতবাড়ির অবকাঠামো সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে পত্র জারি করলেও রফিকুল ইসলাম তা মানতে নারাজ। রাস্তার সঠিক পরিমাপ করে সরকারি নিদ্দেশ অমান‍্য করে বসত বাড়ির কাজ করার জন‍্য যে কোন সময় সংর্ঘশ হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদার পিতা মৃত মফিজ উদ্দিন সরদার গ্রাম শ্রীপুর তিনি যে বিল্ডিং করছেন সেটির সাইডের রাস্তায় মাত্র দেড় ফুট ছেড়ে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ করছেন। এটি বিল্ডিং কোড আইন লঙ্ঘন করেছেন।

তার ভাইয়ের বের হওয়ার রাস্তা প্রতিবন্ধকতা হওয়ায় এবং বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন করায় তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে রফিকুল ইসলাম কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন সাবেক দাগ ১৮ হাল দাগ ৪৭ জমির পরিমাণ ৪৩ শতক এর ২০ শতকের কাতে ৫ শতক জমির উপর আমি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করছি। কত ফিট রাস্তা রাখতে হবে। আমার ভাই দেড় ফিট ছেড়ে বাসা করছে আমিও দেড়ফিট ছেড়ে বাসা করছি।

যার কলাম তুলে বর্তমানে তিনি মিস্ত্রি দিয়ে কাজ গুলি করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ের দুপচাঁচিয়া থানার পুলিশের এএসআই সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে মোজাফফর হোসেন ও আবুল কাশেম পৃথক পৃথকভাবে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে তারা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।

আপন সহোদর ভাইদের মধ্যে জমা জমি সংক্রান্ত এ বিরোধের জের ধরে এই বিরোধের সূত্রপাত সৃষ্টি হয়। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এবং আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দুটি অমান্য করে বিল্ডিং কোড লংঘন করে বাড়ি নির্মাণ করায় যে কোন সময় উভয় পক্ষের মধ‍্যে শান্তি ভঙ্গ হতে পারে বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন।

বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন

এরকম আরও বার্তা
স্বত্ব © ২০১৫-২০২২ এশিয়ান বার্তা  

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft