গৌতম মালিক, কলকাতা:
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা তথা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আজ ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩’।
এ উপলক্ষ্যে
যথাযথ মর্যাদায় ১৭ মার্চ শুক্রবার কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে এই দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।
দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং “মুজিব চিরঞ্জীব” মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস সহ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তারা।
এরপর যথাক্রমে বাংলাদেশ গ্যালারিতে বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত বানী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠান শেষে কলকাতার স্মিথ লেনে অবস্থিত বেকার গভরনমেন্ট হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
এসময় সেখানে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস,
দূতালয় প্রধান সিকদার মোহাম্মদ আসরাফুর রহমান, প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো: শামসুল আরিফ, কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সিলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মচারী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কলকাতা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইন্ডিয়া অপারেশন্স কলকাতার কর্মকর্তারাও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আন্দালিব ইলিয়াস বলেন ‘আজ থেকে ১০৩ বছর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল। তার জন্মের কারনে গোটা বিশ্বের ইতিহাস পাল্টে গেছে। বিশ্ব যে আজ নতুন দিকে এগোচ্ছে তার মূল নায়ক বঙ্গবন্ধু।
এই কলকাতাতেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়েছিল, তিনি ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সে সময় তিনি যে নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন, নেতৃত্বে যে বিকাশ হয়েছিল সেটির ধারাবাহিকতায় একের পর এক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গঠন করেছিলেন।’