মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার : ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে বগুড়া-৪ এবং ৬ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তার ভাষ্য, অফিসারদের তাকে ‘স্যার’ বলে ডাকতে লজ্জা হবে, সেজন্য তাকে জিততে দেয়া হয়নি। ফলাফল ঘোষণায় গণ্ডগোল করা হয়েছে।
বগুড়ার দুই আসনে উপনির্বাচনে ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদরের এরুলিয়ায় নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম এসব অভিযোগ করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেয়া হয় দুই আসনে। সন্ধ্যার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ফল ঘোষণা শুরু করেন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। রাতে চূড়ান্ত ফলাফল জানা যায়।
ঘোষিত ফলাফল অনুসারে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। দুজনের ভোটের ব্যবধান মাত্র ৮৩৪। অন্যদিকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু। সেখানে হিরো আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, ‘সবাই বলেছেন আপনি পাস করেছেন। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। আমার এত ভোট গেল কই? ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছে, মশাল জিতে গেছে; এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি।…আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভোট দিয়েছেন। দল নয় আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ওই ভোটগুলো গেল কই? এই ফলাফল আমি মানি না।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘এসব অনিয়মের বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেইনি। তবে ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই ফলাফল দিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলোতে কত ভোট পাইলাম তা জানানো হলো না আমাকে।’
‘ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু দেখেছি। কিন্তু ফলাফলে জায়গায়ে গণ্ডগোল করেছে। ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। সদরের ভোট নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। লাহেরি পাড়ায় আমার এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি। তানসেনের কোনো নাম-গন্ধই ছিল। তাকে পাস করানো হয়েছে।’
হিরো আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চান না। তারা ভাবেন আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে হিরো আলমকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হবে। আমাকে জিততে দেয়া হয়নি।’
একতারা প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, ‘মহাজোটের মশাল মার্কা কোনো কেন্দ্রে ভোট ৫০০ পেলে আমি ২৮ ভোট পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শহরের মধ্যে আমি একটু আশঙ্কায় ছিলাম। এই কারণে বাসায় সংবাদ সম্মেলন করছি।’