শহিদুল ইসলাম শাহিন সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে সুরত আলী প্রামাণিক নামে ষাটোর্দ্ধো এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। এসময় হত্যায় ব্যবহূত একটি ধারালো ছুরিও উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে সাদুল্লাপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন ঘাঘট নদীর বাঁধের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ।
পেশায় কৃষক নিহত সুরত আলী প্রমাণিকের (৬০) বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপড়া ইউনিয়নের পুরাণলক্ষীপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত খয়বর প্রামাণিকের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) মো. এনায়েত কবির জানায়, শনিবার সকালে বাঁধের পাশের একটি জমিতে গলাকাটা রক্তাক্ত একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তির গলা ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই হত্যার রহস্য উম্মোচনসহ জড়িতদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে, সুরত আলীর স্বজনরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বাজার করতে সাদুল্লাপুর বন্দরে গিয়ে আর বাড়ী ফেরেনি সুরত আলী। এরপর রাতে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া পায়নি। সকালে রক্তাক্ত মরহেদ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তাকে শনাক্ত করে ম্বজনরা।
নিহত সুরত আলীর ছেলে ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের দাবি, পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার এবং তাদের ফাঁসির দাবিও জানান তারা।