1. aknannu1964@gmail.com : AK Nannu : AK Nannu
  2. admin@asianbarta24.com : arifulweb :
  3. angelhome191@gmail.com : Mahbubul Mannan : Mahbubul Mannan
  4. info@asianbarta24.com : Dev Team : Dev Team
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হামলার শিকার এক পরিবার ১ টাকার সহযোগিতায় বেঁচে যায় জীবন ! ভাইয়ের জন্য বোনের কিডনি দান তাড়াশে প্রেমিকের হাত ধরে প্রেমিকা উধাও , প্রেমিকসহ পরিবারের উপর মামলা বাগাতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা গোবিন্দগঞ্জে নারী সহ ২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু॥ দুটি মামলা দায়ের গোবিন্দগঞ্জের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কোচাশহর শাখায় রহস্যজনক ডাকাতি সংঘটিত॥টাকা লুট শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে রুয়েট ভিসির পদত্যাগ ফুলবাড়ীতে সেতু নির্মাণে ঠিকাদারের খেয়ালিপনা,ভোগান্তির শেষ নেই দির্ঘ দেড় বছরেও শেষ হয়নি নির্মান কাজ লালপুরে ওয়াটার সাপ্লাই স্কীম নির্মাণ কাজের উদ্বোধন  তালা থানা বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রায়গঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ

  • আপডেট করা হয়েছে : রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৩৪ বার দেখা হয়েছে
মারুফ সরকার, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ  রায়গঞ্জ উপজেলার ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগের জন্য মোটা টাকার ঘুষ নিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তরিকুল।  ঘুষ নয় বরং সম্মানী হিসেবে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে  স্বীকার করেন তরিকুল ইসলাম। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে  রায়গঞ্জ উপজেলার ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এই টাকা লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে।
 শিক্ষা কর্মকর্তা ৫০ হাজার টাকার সঙ্গে গাড়ি ভাড়া হিসেবে আরও ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। জানা যায়, শনিবার উপজেলার ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শূন্য পদ পূরনের জন্য নিরাপত্তাকর্মী, নৈশ প্রহরী, অফিস সহায়ক ও পরিছন্নতা কর্মী পদে মোট চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। টাকার বিনিময়ে চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এতে সহযোগিতা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।
বিদ্যালয়ে চারটি পদের বিপরীতে মোট কতজন আবেদন করেছেন, যাচাই-বাছাইয়ে কতজন টিকেছেন এবং তাদেরকে কবে প্রবেশপথ পৌঁছানো হয়েছে তা জানাতে  চাইলে অস্বীকৃতি জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.ইয়াকুব আলী। এমনকি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে কাদের নিয়োগ দেওয়া হলো সেটিও টাঙানো হয়নি নোটিশ বোর্ডে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে গিয়ে টেবিলের আড়ালে তার হাতে একটি টাকার বান্ডিল তুলে দেন। শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা নিয়ে তার কোটের ডান পকেটে রাখেন। আর একটি টাকার বান্ডিল কোটের বাম পকেটে রাখেন। এ সময় পাশেই বসা ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিজির প্রতিনিধির পাঠানো মনোনীত কর্মকর্তা।
এ সময় ডিজির প্রতিনিধির মনোনীত কর্মকর্তাকেও টাকা দিতে দেখা যায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী জানান, আমি তাকে কোনো টাকা দিই নাই । কিন্তু টাকা দেওয়ার ভিডিও আছে বললে তিনি মুঠো ফোন কেটে দেন।তবে মো. তরিকুল ইসলাম টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ৫০ হাজার টাকা নিয়েছি আমার সম্মানী হিসাবে এটা পেয়েই থাকি। এটা ঘুষ নয়। আর ৩ হাজার টাকা নিয়েছি গাড়ি ভাড়া হিসেবে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ভূইয়াগাঁতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি অনিল কুমারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ডিজির প্রতিনিধি কাজিপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমের মুঠোফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান,  আমি অসুস্থ থাকায় সেখানে যেতে পারিনি। আমার প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষককে পাঠিয়েছিলাম। তবে নিয়োগ ব্যাপারে এমন টাকা লেনদেন হওয়ার কথা নয়।ডিজির প্রতিনিধির নাম-পরিচয় ও মুঠোফোন নাম্বার চাইলে তিনি বলেন, তার নাম-পরিচয় দিয়ে আপনি  কী করবেন? এরপর মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন রেজাউল করিম। এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৃপ্তি কণা মন্ডল  বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া সবসময়ই স্বচ্ছ হবে এটাই প্রত্যাশা, কারণ এখানে মানুষের জীবিকার ব্যাপার রয়েছে ।
যেহেতু মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন তিনি সম্মানী নিয়েছেন সে ক্ষেত্রে তাদের কত টাকা সম্মানী নেওয়ার নিয়ম আছে সেটা আমি জানি না। তবে যদি এখানে অনিয়ম দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে আশা করছি শিক্ষা বিভাগ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজি সলিম উল্লাহ বলেন, এত টাকা কারো অনারিয়াম (সম্মানী) হতে পারে না। আগামীকাল অফিসে গিয়ে আমি বিষয়টি জানার চেষ্টা করব। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. তমাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকে শুনতে  পারলাম। আমরা অবশ্যই বিষয়টি তদন্ত করব। এরপর ঘটনা প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন

এরকম আরও বার্তা
স্বত্ব © ২০১৫-২০২২ এশিয়ান বার্তা  

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft