বগুড়া প্রতিনিধিঃ তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ঝাালমুড়ির দোকানীর ছুরিকাঘাতে আহত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) ২৫তম ব্যাচের শেষ বর্ষের ছাত্র মোঃ মেহেরাজ হোসেন ফাহিম (২৩) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগন্জের বাসিন্দা। ওই শিক্ষার্থী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে মারা যান বলে জানিয়েছেন শজিমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ রেজাউল আলম জুয়েল।
এখবরে শজিমেক শিক্ষক , কর্মচারী ও ছাত্রদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ এ ঘটনার দুই আসামী পিতাপুত্রকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই রাতেই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে মেহেরাজ হোসেন ফাহিম বন্ধুদের সাথে শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই গেটে ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিল ব্যাপারি ঝাল-মুড়ির ব্যবসা করতেন। সেখানে ঝাল-মুড়ি খাওয়া নিয়ে ফরিদ ব্যাপারীর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ফাহিম। ওই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ফরিদের ছেলে শাকিল তার হাতে থাকা পেঁয়াজ কাটার চাকু দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়।
কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে ফাহিমকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন পুলিশ ফরিদ ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতে ছেলে শাকিল ব্যাপারিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজনকে আসামি করে পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে ফাহিমের বাবা নুর মোহাম্মদ বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ছাত্রলীগের শজিমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, ঘটনার তৃতীয় দিনে ফাহিমকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সে মারা যায়। ওখানকার চিকিৎসকদের কাছে থেকে আমরা জানতে পেরেছি, ছুরিকাঘাতের পর ফাহিমের শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে।
সেটি আর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার এসআই মো. রাসেল বলেন, ঝাল-মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার জেরে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আসামিরা জেলহাজতে রয়েছেন।