মোঃ আজিজুল ইসলামঃ সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
আন্তজার্তিকভাবে রিসার্চ বেস্ট-পেপার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর এবং সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামের কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. মোঃ রাফিজুল ইসলাম।
বিগত ৩০শে নভেম্বর থেকে ৩রা ডিসেম্বর ২০২২ ইন্ডিয়ার অন্ধ্র প্রদেশের এসভি ইউনিভার্সিটি 12th IconSWM CE and IPLA Global Forum 2022-এর উপর একটি আন্তজার্তিক কনফরেন্স আয়োজন করেন।
উক্ত কনফরেন্সে ৫১ দেশ যেমন, আমেরিকা, বাংলাদেশ, জাপান, জার্মানি, মালায়েশিয়া, ইত্যাদি হতে বিভিন্ন রিসার্চ ফিল্ড যেমন-Solid waste management and circular economy, landfill management, plastics waste management, environmental pollution and protection ইত্যাদি এর উপর ৩৩০ টি রিসার্চ পেপার উপস্থাপিত হয়।
উক্ত কনফরেন্সে landfill management ক্যাটাকরিগতে প্রফেসর ড. মোঃ রাফিজুল ইসলাম ও তার মাস্টার্স রিসার্চ স্টুডেন্ট মো. রতন মিয়া একটি রিসার্চ পেপার উপস্থাপন করেন।
উক্ত আন্তর্জাতিক কনফরেন্সের জুরি বোর্ড রিসার্চ পেপারটি মুল্যায়ন করে প্রফেসর ড. মোঃ রাফিজুল ইসলামকে বেস্ট-পেপার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
তিনি Solid waste এবং landfill management এর উপর একাধিক গ্রাজুয়েটের মাস্টার্স এবং বিএসসি ইন্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে প্রফেসর ড. মোঃ রাফিজুল ইসলাম বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফরেন্স হতে একাধিকবার বেস্ট-পেপার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রফেসর ড. মোঃ রাফিজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তথা বিভিন্ন বিভাগের রিসার্চ স্টুডেন্টের রিসার্চ কাজকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য এধরনের অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি অতন্ত প্রশংসনীয় ও আবশ্যক।তিনি এই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির জন্য উক্ত কনফরেন্সে সংশ্লিষ্ট জুরি বোর্ডের সকলের নিকট কৃতঙ্গতা প্রকাশ করেন।তিনি উক্ত কনফরেন্সে অংশগ্রহণ করার সুযোগ প্রদানে কুয়েট প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতঙ্গতা প্রকাশ করেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রিসার্চ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধসহ বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । আমাদের সকলের উচিত মেধা ও গবেষনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে আরোও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং উন্নয়নশীল ও রিসার্চভিত্তিক দেশ গঠনে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকায় নিজেকে ব্রত থাকা।
তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই পারেন শিক্ষাকে বাস্তবে রূপদানে ভূমিকা নিতে।।একজন শিক্ষককে তার পেশার উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিনিয়ত নব নব জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শিক্ষককে প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়ন সাধনে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং যথাসময়ে যথোপযুক্ত স্থানে প্রায়োগিক দিকের প্রতি নজর দিতে হবে ।
তদপরি শিক্ষক হিসাবে আমার এই অর্জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণায় অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসাবে কুয়েটকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ে যাবে।
প্রফেসর ড. মোঃ রাফিজুল ইসলাম কুয়েটের সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টম্বর মাসে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন এবং বর্তমানে তিনি একই বিভাগে প্রফেসর হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি কুয়েটের সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগে জার্মান সরকারের অর্থায়নে একটি রিসার্চ প্রজেক্ট “ স্কিপ প্লাষ্টিক প্রজেক্ট” এর প্রজেক্ট ডাইরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রায় ১৪০ টি গবেষনা আর্টিকেল দেশ বিদেশের বিভিন্ন কনফারেন্স ও জার্নালে পাবলিস্ট করেছেন। তিনি রিসার্চের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন কানাডা, ইতালী, সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করেছেন।
তিনি কুয়েটের শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি খুলনা বিভাগের বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন যেমন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছেন । তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন যেমন শিক্ষা সহায়ক স্বপ্নপূরণ, মানব কল্যাণে মানিকহার, সাতক্ষীরা এসোসিয়েশন কুয়েট, ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজ সেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামের এক স্বনামধন্য মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি পিতা মাতার ছয় সন্তানের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান। তিনি সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন ।