ডেস্ক রিপোর্ট: ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশসহ
বিশে^র প্রতিটি রাষ্ট্রে রাজনীতির নামে দুর্নীতি চলছে। সাধারণ মানুষ তাদের
মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে। অর্থ-সম্পদের
মোহ এবং ক্ষমতা ও অধিপত্য বিস্তার নিয়ে মানুষে মানুষে সংঘাত ও সংঘর্ষ চলছে।
আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম নৈরাজ্য এবং সংঘাতময় অবস্থার
কারণে জাতীয় জীবনে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।
দেশ স্বাধীনের প্রায় ৫১ বছর পর
গণতন্ত্রের অধীনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা ও অধিপত্য বিস্তার নিয়ে সরকার
এবং সরকার বিরোধীরা ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষের মুখোমুখি অবস্থান করছে। উভয় পক্ষের
মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষ শুরু হলে জাতীয় জীবনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা
দিতে পারে এবং সংঘাত ও সংঘর্ষে যারা শামিল হবে তাদের আখিরাতের জীবনেও মহা ক্ষতি
হবে। ইতিমধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও তেল সংকট দেখা দিয়েছে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য
মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবনে সংকট মারাত্মক আকার ধারন করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে সরকার ও সরকার বিরোধীরা জাতীয় জীবনে চরম বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টি করছে।
আজ ০৩ ডিসেম্বর, ২০২২; (শনিবার) বিকাল ৩ ঘটিকায় মেরুল বাড্ডা ডিআইটি
প্রজেক্ট খেলার মাঠে ইসলামী সমাজের উদ্যোগে “দেশে চলমান সংঘাতময় অবস্থার
কারণ এবং এ থেকে বাঁচার উপায়” বিষয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা, জনাব
সোলায়মান কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত “শান্তি সমাবেশে” ইসলামী সমাজের আমীর
হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য জাতির মানুষের জীবনে
বিপর্যয় সৃষ্টি করছে এবং ধর্মের নামেও সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গিবাদী অপতৎপরতার
বিস্তার ঘটছে।
গণতন্ত্র তথা মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী সকল প্রকার
নেতৃবৃন্দকে দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবাজ নেতাদের
নেতৃত্বে দূর্বলের উপর শক্তিমানের শোষন ও জুলুম চলছে, ক্ষমতাসীনদের লুট-পাট ও
অরাজকতা সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করছে।
তিনি বলেন, দেশে চলমান সংঘাতময়
অবস্থা এবং সকল প্রকার ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়ে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও দল-মত
নির্বিশেষে সকল মানুষ মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে হলে সকল ধর্মের
লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায়
সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর
প্রদর্শিত পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দল, মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি সংঘাত ও সংঘর্ষের পথ
পরিত্যাগ করে ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার ঈমানী, নৈতিক ও
মানবকি দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
শান্তি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- ইসলামী সমাজ এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল, জনাব মোঃ
আজমুল হক, মোঃ নুরুদ্দিন, মোঃ সেলিম মোল্লা, মোঃ