আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে
গাইবান্ধায় বছরব্যাপী লাখো কণ্ঠে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’
কবিতা উচ্চারণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনের মধ্যে ছিল র্যালি,
প্রীতি বিতর্ক, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নজরুল চর্চা
কেন্দ্র, বাদিয়াখালী, গাইবান্ধা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শনিবার গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে
আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কবি নজরুল
ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ জাকীর
হোসেন।
নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব.) কর্নেল মঈনুল হকের
সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সম্মানিত অতিথি কবি কাজী
নজরুল ইসলামের নাতনী নজরুল সংগীত শিল্পী খিলখিল কাজী, বেগম
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া
ডিনা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুশান্ত কুমার মাহাতো, জেলা
পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, পিবিআই পুলিশ সুপার এআরএম
আলিফ, গাইবান্ধা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ও লাখো কণ্ঠে
‘বিদ্রোহী’ কবিতা উচ্চারণ সমাপনী অনুষ্ঠানের আহবায়ক প্রফেসর
খলিলুর রহমান, সাহিত্যিক অধ্যাপক মাজহার-উল-মান্নান, গাইবান্ধা
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বিপ্লব,
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফেরদৌসি জাহান
সিদ্দিকা প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা গাইবান্ধায় একটি নজরুল
গবেষণাগার স্থাপনের দাবি জানান।
পরে প্রীতি বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠান
পরিচালনা করেন শাহজাদী হাবিবা সুলতানা পলাশ। ছবি সংযুক্ত
৪ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় ফুলছড়ি থানা
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ ৪ ডিসেম্বর গাইবান্ধা জেলার
প্রথম হানাদার মুক্ত হয় ফুলছড়ি থানা। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানী বাহিনীর
সাথে সম্মূখযুদ্ধে অংশ নিয়ে এই দু’থানা সদরকে হানাদার মুক্ত করে।
মুক্তিযোদ্ধারা ৪টি দলে বিভক্ত হয়ে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে
ফুলছড়ি থানার চারপাশে অবস্থান নেয় এবং সূর্য উঠার আগেই ফুলছড়ি
থানায় আক্রমন করে। এতে পাকবাহিনীর ২৭ জন সৈন্য এবং ৫ জন বীর
পাকসেনাদের অন্যতম ঘাটি ছিল গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানা ও
তিস্তামূখঘাট রেলওয়ে ফেরিঘাট। নৌ ও রেলপথে পাকিস্থানী হানাদারা
এখানে এসে অবস্থান নিয়ে উত্তরাঞ্চলের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় হত্যা,
ধর্ষন ও লুটপাটসহ সবধরণের অপকর্ম করতো। এছাড়াও নৌপথে
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের মানকার চরে
যেতে না পারে সেজন্য তারা নিয়মিত টহল দিতো।
এই অঞ্চলের শক্তিশালী পাক হানাদার ঘাটি দখলে নিতে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠিত
হয়ে পরিকল্পনা করতে থাকে তাদের পরাজিত করার জন্য। সেই অনুযায়ী চারটি
দলের মধ্যে ৩টি দল ৪ ডিসেম্বর ভোররাতেই ফুলছড়ি থানায় আক্রমন করে। মাত্র
১০ থেকে ১২ মিনিটের সম্মুখ যুদ্ধেই পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পন করে
পাকিস্থানের ২ শতাধিক সৈন্য। মুক্তিযোদ্ধারা থানার গোলাবারুদ ও অস্ত্র
নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এই সম্মূখ যুদ্ধে শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা
আফজাল হোসেন, কবেদ আলী, জাহেদুর রহমান বাদল, ওসমান গনি ও আব্দুল
সোবাহান।
১১নং সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক জানান, শহীদদের
মৃতদেহ উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী সাঘাটা উপজেলার সেগুনা ইউনিয়নের খামার
ধনারুহা গ্রামে এনে কবরস্থ করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই ৫ শহীদের
সম্মানার্থে ইউনিয়নটির নাম পরিবর্তন করে মুক্তিনগর রাখা হয়। বর্তমান
সরকারের আমলে শহীদদের কবরস্থানগুলো সংরক্ষণ করা হয় যথাযথভাবে।
আজকের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের স্বজনদের সম্মান ও মর্যাদা
জানাতে সাঘাটার মুক্তিনগরে আয়োজন করা হয় নানা কর্মসূচি।
সর্বস্তরের মানুষ এই স্মৃতিস্মম্ভে এসে ফুল দিয়ে শহীদ ও তাদের স্বজনদের
সম্মান জানান।
গাইবান্ধায় হজ্ব গাইড আব্দুল মজিদ সরকারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলা হাজী
কল্যাণ ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের হাজীদের উদ্যোগে হজ্ব গাইড আলহাজ্ব মো.
আব্দুল মজিদ সরকারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গতকাল শনিবার স্থানীয় ইসলামিক
ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রবিউল হাসান।
সংগঠনের সদর উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব মো. আঃ মোওালেব সরকারের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা সরকারি
কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, জেলা হাজী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের
সভাপতি আলহাজ্ব কাজী মো. শফিকুল ইসলাম, সাধারণ স¤পাদক আলহাজ্ব
আব্দুল মান্নান সরকার, আলহাজ্ব মোঃ আমানত আলী, আলহাজ্ব মুফতি মো.
মাহমুদুল হাসান কাসেমী, আলহাজ্ব মো. আঃ ছালাম জিহাদী, আলহাজ্ব
মোঃ আখতারুজ্জামান,আলহাজ্ব মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা হজ্বের গুরুত্ব, ফজিলত ও হজ্ব পরবর্তী জীবনে করনীয় এবং বর্জনীয়
স¤পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। শেষে প্রধান অতিথি মোঃ রবিউল
হাসান হজ্ব গাইড আলহাজ্ব মো. আব্দুল মজিদ সরকারের হাতে ক্রেষ্ট তুলে
দেন। পরে দেশ ও জাতির সুখ, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাত
করা হয়।
গাইবান্ধায় আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ “অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য
পরিবর্তনমুখী পদক্ষেপ : প্রবেশগম্য ও সমতাভিত্তিক বিশ^ বিনির্মানে
উদ্ভাবনের ভূমিকা প্রতিপাদ্য এবারের বিষয় নিয়ে গাইবান্ধায় ৩১তম
আন্তর্জাতিক এবং ২৪তম জাতীয় প্রতিবন্ধী প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে র্যালী
ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের
উদ্যাগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যালয় হতে
বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের
কার্যালয় এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা
সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফজলুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা
সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত)
মো. রবিউল হাসান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর মিয়া,
বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়নুল হক রাজা, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবেদুর
রহমান স্বপন, প্রতিবন্ধী বিষয়ক অফিসার মো. আকতার হোসাইন, সদর
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আফরোজ জাহান, পুলিশ সুপারের
প্রতিনিধি ডিআইও হুমায়ন কবির, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের
রেজিস্ট্রেশন অফিসার মো. মিজানুর রহমান , পলাশবাড়ী উপজেলা
সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান, সদর উপজেলা সমাজসেবা
কর্মকর্তা শাহ্ধসঢ়; নাছির উদ্দিন, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আশরাফুল ইসলাম
শিপন কুমার শাহাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পলাশবাড়ী উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ
অনুষ্ঠিত
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা
ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজঃ ৩১১৭) নবনির্বাচিত
কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ উপলক্ষে এক আলচনা সভা অনুষ্ঠিত
হয়েছে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় পলাশবাড়ী পৌরশহরের রুবেল মার্কেটে
সংগঠনের কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. সুরুজ হক
লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
পৌর মেয়র গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন
সংগঠনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক,
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ সাবু, আতিক
হাসান মিল্লাত ও ফিরোজ কবির প্রমুখ।
সংগঠনের মোট ৯ পদের মধ্যে ৪টি পদে গত শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা
থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত
হয়। এতে সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পদক ওমর ফারুক,
সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মহিদুল ইসলাম
নির্বাচিত। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিতরা হলেন সহ-সভাপতি
শফিকুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্যা,
ক্রীড়া সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক আইয়ুব আলী প্রধান।
নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান
পৌর মেয়র গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব। এসময় পলাশবাড়ী ফুটবল
কোচিং একাডেমীর সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হামিদসহ নির্বাচন
পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্য ছাড়াও সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত
ছিলেন।