ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ৩০ নভেম্বর, (বুধবার) জাতীয় আয়কর দিবস। ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবসটি উদযাপনের কর্মসূচি নিয়েছে।
এবছর জাতীয় আয়কর দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘যথাযথ কর প্রদানের মাধ্যমে করদাতাদের রাষ্ট্রের উন্নয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ’।
বুধবার সকালে কাকরাইল রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী কবুতর উঠিয়ে আয়কর দিবসের উদ্বোধন করবেন। এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উপস্থিত থাকবেন। আয়কর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে রাজস্ব কর্মকর্তারা ছাড়াও লেখক, সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গণের জাতীয় পর্যায়ের সেলিব্রেটি, আয়কর আইনজীবি, সংবাদকর্মীসহ সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন। বরাবরের মতো এবারও সেরা করদাতাদের সম্মাননা জানাবে এনবিআর।
শেখ হাসিনা বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে কর প্রদান, তাৎক্ষণিক ই-টিআইএন প্রদান, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল, আয়কর রিটার্ন পূরণে সহায়তা, এ-চালান, ই-টিডিএস সিস্টেম এবং কর তথ্য-সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কর বিভাগের সঙ্গে সম্মানিত করদাতা, অংশীজন ও নাগরিকদের মেলবন্ধনে দেশে আজ কর সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। তিনি কর দিবস উপলক্ষে করদাতা ও আয়কর বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শুভেচ্ছা জানান এবং যারা সেরা করদাতা সম্মাননা পাচ্ছেন তাদের অভিনন্দন জানান।
২০০৮ সাল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর আয়কর দিবস হিসেবে উদযাপিত হতো। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করছে এনবিআর।
বর্তমানে দেশের ৮২ লাখের বেশি টিআইএনধারী রয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ লাখের মতো টিআইএনধারী নিয়মিত আয়কর রিটার্ন দেন বলে জানা গেছে। এবারও করদাতাদের প্রত্যাশা পূরণে এক ছাদের নিচে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে দেশের ৩১টি কর অফিসে গত ১ নভেম্বর থেকে মেলার পরিবেশে করদাতাদের সেবা দেয়া হচ্ছে।
সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। চলতি অর্থবছর থেকে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে না, বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।