1. aknannu1964@gmail.com : AK Nannu : AK Nannu
  2. admin@asianbarta24.com : arifulweb :
  3. angelhome191@gmail.com : Mahbubul Mannan : Mahbubul Mannan
  4. info@asianbarta24.com : Dev Team : Dev Team
রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন

ফুলবাড়ীতে কমতে শুরু করেছে নতুন আলুর দাম

  • আপডেট করা হয়েছে : রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬৩ বার দেখা হয়েছে

মেহেদী হাসান,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আগাম আলু জমি থেকে তোলার হিড়িক পড়েছে। বাজারে নতুন আলুর চাহিদা ও আমদানী বেশী হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। গত এক সপ্তাহ আগেও এই আলু বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত। আমদানী বাড়ার কারনে এখন দাম কিছুটা কম। এতে গ্রহকদের মাঝে সস্তি ফিরলেও,বর্তমানে দাম নিয়ে অসন্তষ চাষিরা। তবে যে কৃষকরা আগেভাগে আলু তুলতে পেরেছে তারা ভালো দাম পেয়েছে।

বর্তমানে প্রতি কেজি আলু খুচরা মুল্যে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। স্থানীদের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষি নির্ভরশীল ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রায় দুই যুগ ধরে আগাম আলু চাষ করা হচ্ছে। এখানকার চাষিরা আগাম বিভিন্ন শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি আগাম আলু আবাদ করে নিজেদের স্বচ্ছলতা ফিরেয়ে এনেছেন। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

এখানকার উৎপাদিত আগাম জাতের আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলবাড়ী পৌরএলাকার পাইকারি ও খুচরা সবজি বাজারে প্রচুর চাহিদা এবং দাম বেশি থাকায় এ উপজেলায় আগেভাগে উঁচু সমতল জমিতে লাগানো আগাম জাতের আলু তোলার হিড়িক পড়েছে। আলু তোলা নিয়ে কৃষক-কিষাণীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

খেত থেকে আলু তুলে বস্তায় ভরছেন। এ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকাররা মাঠে থাকা সেই বস্তাভর্তি আলু কিনে নিয়ে পিকআপ ভ্যান কিংবা ট্রাকে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। ক্রেতারা জানান,প্রথম দিকে আগাম নতুন আলু বাজারে দাম ছিল আকাশ ছোয়া।তবে বর্তমানে দাম কমতে শুরু করেছে.এতে কিছুটা সস্তি ফিরেছে।

উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদ এলাকার আলুচাষি পলাশ জানান, এবছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে রোমান ক্যারেট জাতের আলু চাষ করেছেন। এতে হালচাষ, বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ ও কৃষিশ্রমিকদের মজুরিসহ খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এই জমি থেকে তিনি পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কেজি আলু।

তার উৎপাদিত আলু ক্ষেতেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার আলু বিক্রি হয়েছে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে দুই লাখ টাকা লাভ হয়েছে। বেশি দাম পাওয়ার আশায় আগাম জাতের আমন ধান কাটামাড়াই শেষে এ জমিতে আগাম আলু চাষ করেছিলেন তিনি। তিনি বলেন প্রথম দিকে দাম বেশি পেলেও এখন আমদানী বাড়ার কারনে দাম কিছুটা কমেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, এবছর এই উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে। ফলন ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২৩ দশমিক ৮৩ মেট্রিক টন। এতে মোট উৎপাদন ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে মাঠেই আলুর চড়া দাম পেয়ে কৃষক পরিবারে সমৃদ্ধি বয়ে আনছে। প্রতি বছর এ উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক আমন ধান ঘরে তুলে আগাম বাজার পেতে আলুর চাষ করেন। বর্তমানে আগাম আলু ক্ষেত থেকে উত্তোলন শুরু হয়েছে।

বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন

এরকম আরও বার্তা
স্বত্ব © ২০১৫-২০২২ এশিয়ান বার্তা  

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft