জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক পদ ১৩টি পদ ৪ বছর ধরে শূণ্য থাকায় শিক্ষকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে শিক্ষক সংকটের কারনে বিদ্যালয়গুলোতে অতিরিক্ত পাঠদান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলায় মোট ৪৭ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে বেজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফেরসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর হাটশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওটিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশরতা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৭টি বিদ্যালয়ে ৪ বছর ধরে এবং ক্ষেতলাল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আকলাস-শিবপুর-শ্যামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক মাস থেকে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে।
এ ছাড়াও উপজেলার মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটিমুকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকলাশ-শিবপুর-শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও রোয়াইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন সহকারি শিক্ষক এর পদ শূন্য রয়েছে। ফলে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যার কারনে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয় অভিভাবকদের।
অপরদিকে পদ শূণ্য ওই সব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শ্রেণী পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, বিগত ৪ বছর এর বেশি সময় ধরে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ দু’টি পদ ৪ বছর ধরে শূণ্য রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য কাজ-কর্ম সামাল দেয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।
বেজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা ফেরদৌসী রানা চেীধুরী বলেন, একসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক পদে দায়িত্ব পালন করা কষ্টকর। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অফিসয়িাল কাজকর্ম সামাল দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানোর তেমন সুযোগ হয় না। এতে শিক্ষার্থীরা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক থাকলে দাপ্তরিক কাজগুলো সামাল দিতেন, আমি ক্লাসের বিষয়গুলো সামাল দিতে পারতাম। আমার মতে এসব বিদ্যালয়ে দ্রুত প্রধান শিক্ষকের ব্যবস্থা করা উচিত।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ বলেন, প্রধান শিক্ষকের শূণ্য পদের চাহিদা পূরণের জন্য উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ইতিমধ্যেই সহকারি শিক্ষদের নিকট থেকে পদোন্নতির আবেদন নেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন শিক্ষক নিয়োগ হলে আশা করি এ সমস্যার সমাধান হবে।