জয়পুরহাটে শীতের প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। শীতের সবজির পাশাপাশি বাজারে উঠতে শুরু করছে নতুন আলু। তবে দাম বেশ চড়া। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। যদিও পুরাতন আলু ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় দোকানের অনন্য কাঁচা সবজির পাশে অল্প পরিমান করে নতুন আলু সাজিয়ে রেখেছে বিক্রেতারা। জয়পুরহাটের নতুনহাট বাজারের শতাধিক দোকানে নতুন আলুর দেখা না গেলেও একটি দোকানে নতুন আলু বিক্রি করতে দেখা গেলো। বাকি দোকানের মালিকরা নতুন আলুর দাম কমার অপেক্ষায় রয়েছেন।
বিক্রেতা খাইরুল ইসলাম সবুজ বলেন, আমি প্রথম আলু ওঠালাম। দাম তো একটু বেশি থাকবেই। দিন যত যাবে, বেশি পরিমাণে আলু আসবে। তখন দাম স্বাভাবিক হবে। নতুন আলুর সরবরাহ অনেক কম, আরও সময় লাগবে সরবরাহ বাড়তে। নতুন আলু ৭০ টাকা কেজি দরে কিনে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দাম অনেক বেশি হওয়ায় অল্প পরিমান উঠালাম। সকাল থেকে ক্রেতারা শুধু দাম শুনছে কিন্তু কিনছে না। নতুন আলুর দাম শুনে পুরাতন আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
নতুন আলুর দাম শুনে পুরাতন আলু কেনা ক্রেতা মো. দোলন হোসেন বলেন, নতুন আলু বাজারে উঠেছে লোকজনের মুখে শুনলাম, তাই ভাবলাম কিনবো। দাম এত বেশি কেনা আর হলো না। আর কিছুদিন পর আলুর সরবরাহ বেশি হলে দাম কমবে তখন কিনবো। এখন নতুন আলুর ১ কেজির টাকা দিয়ে পুরাতন আলু ৪ কেজি কিনতে পারছি।
পুরাতন আলু বিক্রেতা বাবু বলেন, এত বেশি দামে আলু সব ক্রেতারা কিনবে না। তাই নতুন আলু দোকানে উঠাইনি। পুরাতন আলুই বিক্রি করছি কাডিলাল ২৫ টাকা, সাদা ইষ্টিক আলু ২০ টাকা, লাল গোল আলু ৩০ টাকা কেজি দরে। নতুন আলু বাজারে মাত্র আসলো। যখন বেশি আসবে, তখন পুরাতন আলুর এই দাম থাকবে না।
এদিকে শুধু আলু নয় শীতের সবজি মুলা, টমেটো, পেঁপে, পাতা কপি, শিম, ফুল কপি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এসব সবজির দামও বেশ চড়া। অপরদিকে, নতুন সবজির বাজারে দর ভালো পাওয়ায় খুশি স্থানীয় চাষিরা।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিকেজি পাতাসহ পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ৬০থেকে ৭০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫ থেকে ৬০ টাকা,বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা,টমেটো কাঁচা ৪০ থেকে ৫০ টাকা,পাঁকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও নতুন ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।