জয়পুরহাটে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিজিবি সদস্য নেপাল দাসের মৃত্যুর ঘটনায় হযরত জাকারিয়া নামে তার এক সহকর্মীকে আটক করেছে র্যাব। র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। র্যাব জানিয়েছে, বিজিবি সদস্য নেপাল দাসের হত্যাকারী হযরত জাকারিয়া দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি আইনে যা আছে তার ওপর ট্রায়াল হবে।
উল্লেখ্য, ২০-বিজিবি ক্যাম্প থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয় নেপাল দাসকে। এ সময় তার পোশাক রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে বিজিবি সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্স করে তার মরদেহ ক্যাম্পে নিয়ে যান।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল জানিয়েছিলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বিজিবি-২০ জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের নেপাল চন্দ্র দাস নামে এক সদস্যকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাকে আমরা গুলিবিদ্ধ ও মৃত অবস্থায় পেয়েছি। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ নিয়ে গেছে বিজিবি।’
নেপাল দাসের মৃত্যুর ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বিজিবি সদস্য হযরত জাকারিয়া পলাতক ছিলেন। তিনি লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা। নেপাল ২০-বিজিবি পাঁচবিবি বিশেষ ক্যাম্পের সদস্য ছিলেন। জাকারিয়াও ওই ক্যাম্পের সদস্য।