জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে হয়ে গেলো শত বছরের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব ও লক্ষী পুজার মেলা। সনাতন ধর্মাবলমীর লোকজন ছাড়াও অন্যান্য জাতি ও ধর্মের নারী পুরুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে মালা প্রাঙ্গণ। সোমবার বিকেলে উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের মালিদহ ছোট যমুনা নদীর তীরে বসে এ মেলা। মালিদহ কদমতলী লক্ষী মন্দির কমিটি আয়োজিত এ মেলায় সকাল থেকে ছোট বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী, কসমেটিকস, মনোহারী, বাঁশ বেতের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শতবছর আগে খঞ্জনপুর এলাকার তৎকালীন জমিদার ভবেশ চন্দ্র মহন্ত এ মেলার আয়োজন করেন। তখন মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন চলতো। এ এলাকায় সনাতন ধর্মের লোকদের বসবাস থাকায় মেলায় থাকত বিভিন্ন ধরনের আয়োজন। কিন্তুু কালের বির্বতনে এখন তাতে বেশ ভাটা পরেছে।স্থানীয়রা কোন রকমে তা অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিবছর অগ্রাহায়ন মাসের প্রথম রোববার মেলা উপলক্ষ্যে প্রতিটি বাড়ীতে চলে নবান্ন উৎসব। বাড়ীতে জামাই মেয়েদের নিমন্ত্রন করে বাড়ী এনে চলে আপ্যায়নের ধুম। লক্ষী পূজার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে এ মেলার ।
মেলায় আগত দর্শনার্থীরা জানান, প্রতিবছর এখানে মেলা বসে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার জিনিসসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পাওয়া যায়। মেলাটি সকল ধর্মের মানুষের যেনো মিলন মেলা। অনেক আনন্দ হয় এ মেলাকে ঘিরে।
মেলা কমিটির সভাপতি শ্রী নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, আগে এখানে এক মাস ধরে মেলার আয়োজন থাকতো। এখন আর সেটি হয় না। তবুও বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর অগ্রাহায়ন মাসের প্রথম রোববার নবান্ন উৎসব ও পরের দিন সোমবার লক্ষী পূজার আয়োজন করে থাকি।
আয়মারসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামূনুর রশিদ মিল্টন বলেন, কদমতলী মালিদহ লক্ষী পুজার মেলাটি একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। যা প্রায় ১শ বছর আগে থেকে এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শতবছরের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে আগামীতে এই ধারা অব্যাহত রাখুক। আমার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মেলা আয়োজনের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়েছে।