বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: গত ৩ বছর ধরে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক সেবা দিয়ে আসছেন
তরুণ ব্যবসায়ী লালন (৩২)। জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন বেশ। সে সুত্রে
এবারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র উঠালেন।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত ভোটার লিস্টে তার নাম খুঁজে
পেলেন না তিনি। কে বা কারা সুকৌশলে তার নাগরিকত্বের ঠিকানা
পাশের উপজেলায় স্থানান্তর করে দিয়েছে। নির্বাচনে আগ্রহী
লালন ধারণা করে বলেন, আমি নির্বাচনে যেন প্রার্থী হতে না পারি তার
জন্য প্রতিপক্ষরা এই কারসাজি করে আমার নাগরিকত্বের ঠিকানা অনত্র
স্থানান্তর করে দিয়েছে।
জানা যায়, নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের
সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ডিসেম্বর এবং মনোনয়নপত্র জমা
দেওয়ার শেষ তারিখ ১ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের ৯ নং
ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য হিসেবে মনোনয়নপত্র তোলেন সংশ্লিস্ট
ওয়ার্ডের বাহিমালি গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে লালন। তার
জাতীয় পরিচয়পত্র নং ৪২১৪৩৯৮৬৬৩। নির্বাচন কমিশনের ডিজিটাল
পরিচয়পত্রে তার ঠিকানা হিসেবে গ্রাম-বাহিমালি, ডাকঘর-হারোয়া
৬৪৩০, বড়াইগ্রাম, নাটোর লেখা রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে
মনোনয়নপত্র তোলার পর তিনি ভোটার লিস্টে তার নাম খুঁজে না পেয়ে
অনলাইনে চেক করে জানতে পারেন তার স্থায়ী ঠিকানা তথা নাগরিকত্ব
স্থানান্তর করে নতুন লিপিবদ্ধ হয়েছে গ্রাম: দিলালপুর, ডাকঘর-
দয়ারামপুর-৬৪৩১, লালপুর, নাটোর।
এ তথ্য পাওয়ার পর তিনি, তার স্বজনেরা ও
সমর্থকেরা বিভিন্ন জনের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন এর কারণ জানতে ও
নিজ এলাকায় ভোটার ঠিকানা তথা নাগরিকত্ব পূণঃস্থানান্তরের জন্য।
এ ব্যাপারে মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, ভোটার
স্থানান্তর করতে হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যের প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজন হয়।
তাই বিষয়টি আমার অজানা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, বিষয়টি তার
সম্পূর্ণই অজানা।
লালপুরের ওয়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, এটা
কিভাবে হলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। এ বিষয়ে কোন অসঙ্গতি থাকলে
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাসিব-বিন-শাহাব
জানান, নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সকল প্রার্থীদের কাছে
সরবরাহ করা হয়েছে। এই লিস্টে নাম না থাকলে আপাতত আর কিছুই করার
নেই।