মো,আসাদুজ্জামান আসাদ দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে লোকোসেডের ভেতরে এক দুঃসাহসিক ও রহস্যজনক চুরি সংঘঠিত হয়েছে। অজ্ঞাতনামা লোকজন রেলওয়ের ৪টি অকেজো ডিজেল ইঞ্জিন থেকে ১১লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ৩২টি ব্যাটারী চুরি করে নিয়ে যায়। গত ৪ নভেম্বর চুরির ঘটনাটি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হলেও পার্বতীপুর রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয় ৫দিন পর। এ চুরির ঘটনায় দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে পার্বতীপুর রেলওয়ে লোকোসেডে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন এস আই, একজন হাবিলদার ও ৫জন সিপাহিসহ মোট ৭জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা সহ সেখানে দায়িত্বরত ১৩ জনকে রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর লালমনিরহাট কমান্ডেন্ট কার্যালয়ে ক্লোজ করা হয়। বরখাস্তকারীরা হলেন,এস,আই মাহিদুল ইসলাম মাহিদ,হাবিলদার এমদাদুল হক,সিপাহী শাহিন মিয়া,ছোটন চক্রবর্তী, তৌহিদুল ইসলাম,আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মাহাবুবার রহমান।
পার্বতীপুর রেলওয়ে লোকোসেডের ইন্চার্জ এস,এস,এ,ই/আইসি/লোকো কাফিউল ইসলাম জানান,তিনি প্রায় ১৫দিন ছুটি কাটিয়ে গত ৪নভেম্বর লোকোসেডে যোগদান করার পর সেডের ভেতরে পরিদর্শনকালে তিনি চুরির ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি দেখতে পান ডিজেল ইঞ্জিনসমুহের ভেতরে ব্যাটারী নেই।সেডের অভ্যন্তরে ব্যাপক সিসি ক্যামেরা বসানো থাকলেও কারা চুরি করলো তার ভিডিও চিত্রকি ধরা পড়েনি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,ঝড়ের কারনে সিসি ক্যামেরার ক্যাবেল ছিড়ে পড়ায় ক্যামেরাসমুহের কানেকশন বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে তিনি নিশ্চিত করে বলেন,পোষাকধারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ভ্যানযোগে চুরি যাওয়া ব্যাটারীসমুহ নিয়ে যাচ্ছে এমন দৃশ্য দেখা গেছে বাহিরের সিসি ক্যামেরার ভিডিওচিত্রে।অন্যদিকে সেডের ভেতরে নাইট সিফটে থাকা সেড কর্মচারীগনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ব্যাটারীসমুহ চুরি করলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,রেলওয়ে থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে অন্যান্য অপরাধীদের সংশ্লিষ্টতা খুজে বের করবে।এর চেয়ে আমি কিছুই বলতে পারবোনা।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পাকশি ডিভিশনের ডিএমই জানান,চুরির ঘটনায় লোকোসেডের কর্মচারীগনের কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা এবিষয়ে রেলওয়ে পার্বতীপরের এ,ই,এন রাকিবুল হাসানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।