এম.দুলাল উদ্দিন আহমেদ,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সরকারের সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন, নিপীড়ন আর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে,মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গেগেছে। এতে সাধারণ মানুষ আজ প্রতিবাদ মুখড় হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই বিএনপির সমাবেশগুলো আজ জনসমুদ্রে পরিনত হচ্ছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত হবে।
রোববার (১৩ নভেম্বর) গুলিতে নিহত বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তানু ভূঁইয়া হত্যার প্রতিবাদ ও আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে তিনি তার বাসভবনে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যদানকালে একথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি মানুষের রাজনীতি,গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে, আর আওয়ামীলীগ সেই আন্দোলনে পদে পদে বাঁধা দিয়ে নেতা-কর্মীদের উপর হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানীসহ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে কর্মীদের হত্যা এবং আন্দোলন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। সে ধারাবাহিকতায়ই তারা গুলি করে বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তানু ভূঁইয়াকে হত্যা করেছে। এ নির্মম হত্যার প্রতিবাদের ভাষা নেই তবে একদিন এর দাঁতভাঙ্গা জবাবসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের বিচার করা হবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান লেবু, আজিজুর রহমান দুলাল,আনিছুজ্জামান পাপ্পু,নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, অমর কৃষ্ণ দাস,যুগ্ম সম্পাদক ভিপি শামীম,নুর কায়েম সবুজ,রাশেদুল হাসান রঞ্জন,সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খান হাসান,সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট,মির্জা মোস্তফা জামান ও আলমগির আলম,জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজেশ,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়েস,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজসহ জেলা বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ-সহযোগি সংগঠণের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতা-নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।