নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরে বিএনপির মহামাবেশকে কেন্দ্র করে সকল প্রকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে আগত গণমাধ্যম কর্মীরা নিউজ কাভারেজ করতে ভোগান্তিতে পড়েছে বলে জানান আমাদের ফরিদপুর প্রতিনিধি সহ সাধারন মানুষ। তারা টিভি লাইভ ও ফেবুকে সমাবেশের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করতে পারছেন্না বলে জানান। কখন নেট ছাড়া হবে তাও কেউ বতে পারছেন্না। তবে সব বাধা অতিক্রম করে সমাবেশের কানায় কানায় ভরে গেছে দলীয় নেতাতর্মীদের দিয়ে ।
শত বাধা উপেক্ষা করে ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশে জনস্রোত দেখা গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেছেন, সমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্যাতনে শিকার হয়েছেন। অনেকে রাজবাড়ী ও পাংশা থেকে হেঁটে জনসভায় এসেছেন। শনিবার (১২ নভেম্বর) সাড়ে ১১টার দিকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এ গণসমাবেশের দিনেও ফরিদপুরে চলছে বাস ধর্মঘট। সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘটে দ্বিতীয় দিনের মতো অচল ফরিদপুর। যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তি চরমে। শুধু ফরিদপুরই নয়, এই ধর্মঘটের কবলে পড়ে বিপাকে রাজবাড়ী, মাগুরাসহ আশপাশের জেলার যাত্রীরা।
জানা যায়, মহাসড়কে সব ধরনের থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক বন্ধের দাবিতে মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে ফরিদপুরে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকেই পৌর বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো বাস।
ঘোষণায় জানানো হয়, শনিবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত মহাসড়কে ছোট বড় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এমনকি আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস ছাড়াও বন্ধ আছে বিআরটিসির পরিবহনও। ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বাস না থাকায় বিকল্প পথে অনেককে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।