মোছাব্বর হাসান মুসা স্টাফ রির্পোটার বগুড়াঃ
নিহত ব্যক্তির মোবাইল ফোন ও পায়ের স্যান্ডেল গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির ভাড়া বাড়ি থেকে এবং চৌমুহনী এলাকার তাওসিফ ফিলিং স্টেশন থেকে নিহত ব্যক্তির ব্যবহৃত PREMIO প্রাইভেটকার গ্রেফতারকৃতদের দেখানো মতে উদ্ধার করা হয়েছে।
এই টিম বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের আরেকটি ফসল। মাননীয় পুলিশ সুপার বগুড়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), আদমদিঘি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবং দুপচাঁচিয়া থানার চৌকস তদন্ত টিমের সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ঘটনার শিকার ব্যক্তির নাম সবুজ খন্দকার বয়স ৬০।বাড়ি নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানা এলাকায়। পেশায় প্রাইভেট কার চালক। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিগণ গত ৩ অক্টোবর তার প্রাইভেট কারটি বগুড়া যাওয়ার কথা বলে ০৩ দিনের জন্য রিজার্ভ ভাড়া ঠিক করে রাত্রি ৮ ঘটিকার দিকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ৭ অক্টোবর সবুজ খন্দকারের নিজ বাড়িতে ফেরার কথা। ৬ অক্টোবর গ্রেফতারকৃত ঢাকাইয়া আজাদের ভাড়া বাড়িতে রাত্রের খাবার কথা বলে সবুজ খন্দকারকে বাড়ির ভেতর নিয়ে তাকে হত্যা করে এবং লাশ বস্তাবন্দি করে বেলোহালি স্কুলের পিছনে পুকুরের পানিতে ডুবে রাখে।
৮ অক্টোবর সকাল বেলা লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয় লোকজনের সংবাদের প্রেক্ষিতে দুপচাচিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশের বুদ্ধিদীপ্ত তদন্তে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়, ০২ ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়। আলামত উদ্ধার হয়।
গতকাল আসামিদের কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেনঃ দুপচাঁচিয়া বেলোহালি খামারগাড়ি এলাকার মৃত সওদাগর এর পুত্র আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাবুল (৫২) এবং মৃত তছির উদ্দিন এর পুত্র জহুরুল ইসলাম(৪২)।
শুধুমাত্র প্রাইভেট কারটি আত্মসাৎ করার জন্যই সবুজ খন্দকার কে লাশ হতে হয়েছে বলে তদন্তে জানা যাচ্ছে। সকল গাড়িচালকদের এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বগুড়ার আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনি।