জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
চাঁদা না পেয়ে মারধরের অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক রেজার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ছাত্রলীগ সম্পাদক ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামী করা হয়। ব্র্যাক সিড এন্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজ বগুড়া অঞ্চলের বিপণন কর্মকর্তা সেলিম উর রহমান বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনে হুমকী দিয়ে ব্র্যাক সিড এন্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজ জয়পুরহাট অঞ্চলের বিপণন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম এর কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা ও ১০ বস্তা আলুবীজ দাবি করে জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক রেজা। কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে ব্র্যাক কর্মকর্তা জহুরুল ছাত্রলীগ নেতা রেজর সাথে দেখা না করায় সে ক্ষিপ্ত হয়।
এ অবস্থায় সোমবার বিকেলে জহুরুল ইসলাম শহরের নতুনহাট এলাকায় ব্র্যাকের আলুবীজ ডিলার গোলাম রব্বানীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাকিব ট্রেডার্সে গেলে সেখানে ছাত্রলীগ নেতা রেজা এসে দেখা না করার কৈফিয়ত চেয়ে জহুরুলের কাছে টাকা দাবি করে। জহুরুল টাকা দিতে অস্বীকার করায় থাপ্পর মেরে শার্টের কলার ধরে তাকে টেনে হেঁচড়ে দোকান থেকে বাহিরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিলে রেজার সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন যুবক জহুরুলকে টেনে হেঁচড়ে দোকান ঘর থেকে বাহিরে এনে মারধর করে। পরে আহত জহুরুলকে বীজ ডিলার গোলাম রব্বানী সহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী রাকিব ট্রেডার্সের মালিক ও ব্র্যাকের আলুবীজ ডিলার গোলাম রব্বানী জানান, বিকেলে তার দোকানের সামনেই ব্র্যাক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি ছুটে গিয়ে ব্র্যাক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেছেন। তিনি না থাকলে হয়তো ওরা আরো মারধর করতো। তবে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিক রেজা মোবাইল ফোনে বলেন, কৃষকরা বীজ আলু না পাওয়ায় বীজ ডিলারের দোকানে বীজের জন্য খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে ব্র্যাকের কোন কর্মকর্তার সাথে আমার দেখা বা কথা হয় নি। মিথ্যা অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে’।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট এ প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে দলের কোন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দাবাজি,সন্ত্রাস অথবা নৈতিকতা বিরোধী অভিযোগ পাওয়া গেলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্ত করার জন্য একজন সাব ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।