এম.দুলাল উদ্দিন আহমেদ,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথেই অসংখ্য পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে যতীশ রবি দাসের বিকাশ সু-ষ্টোর। পেশায় একজন জুতা পালিশ ও জুতা তৈরির কারিগর হলেও যতীশ রবি দাসের রয়েছে পাখির প্রতি অফুন্ত ভালোবাসা। প্রতিদিন অসংখ্য শালিক পাখির আনাগোনায় মুখর থাকে যতীশ রবি দাসের বিকাশ সু-ষ্টোর। এসব পাখিকে নিয়ম করে দিনে ৮-১০ বার খেতে দেন যতীশ রবি দাস। দিনের বেশির ভাগ সময় তিনি নিজেই পাখিদের খেতে দেন। আবার কখনো দোকানের আগত ক্রেতারাও উৎসাহিত হয়ে পাখিদের খেতে দেন। সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কস্থ পামতলা মোড়ে যতীশ রবি দাসের দোকান বিকাশ সু-ষ্টোরের সামনে পাখিদের এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন পথচারীসহ অসখ্য মানুষ। পাখির প্রতি যতীশ রবি দাসের ভালোবাসা দেখে অন্যরাও পাখিকে ভালো বাসতে উৎসাহিত হচ্ছেন।
প্রতিদিন সকালে যখন যতীশ রবি দাস দোকান খোলেন তখন তার উপস্থিতি টের পেয়ে ঝাকে-ঝাকে পাখি খাবারের জন্য দোকানের সামনে এসে কিচিরমিচির শুরু করে। পাখিরা যতীশ রবি দাসের এতোই ভক্ত যে রাস্তার উপর যখন তিনি খাবার ছিটিয়ে দেন তখন সেই ছিটিয়ে দেওয়া খাবারগুলো পাখিরা আহরণ করেন। প্রতিদিন দোকানে বসে কাজের ফাঁকে পাখিদের খাবার দেওয়াটা তার জন্য এখন বড়ই আনন্দের। প্রতিদিন তিনি এসব পাখিকে এক’শ টাকার বিস্কুট ও চানাচুরসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার কিনে খেতে দেন।
পাখিপ্রেমী যতীশ রবি দাস বলেন, প্রায় চার বছর হলো আমার দোকানে শালিক পাখি আসতে শুরু করেছে। আমি শালিক পাখিদের মায়ায় জড়িয়ে পড়েছি। আমি প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রায় ৮-১০বার খাবার দেই। এখানে প্রতিদিন খাবারের সন্ধানে অসংখ্য শালিক পাখি এসে জড়ো হয় এবং আমাকে দোকানে না পেলে এবং দোকান খোলা না থাকলে তারা খাবারের জন্য দোকানের সামনে এসে কিচিরমিচির করে। কাজেই আমার পরিবারের নিত্যদিনের খরচের পাশাপাশি প্রতিদিন পাখিদের খাবারের জন্যও আমি এক’শ টাকা বরাদ্দ রেখেছি। পাখির প্রতি যতীশ রবি দাসের ভালোবাসা সত্যিই বিরল।#