1. aknannu1964@gmail.com : AK Nannu : AK Nannu
  2. admin@asianbarta24.com : arifulweb :
  3. angelhome191@gmail.com : Mahbubul Mannan : Mahbubul Mannan
  4. info@asianbarta24.com : Dev Team : Dev Team
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গোবিন্দগঞ্জে নারী সহ ২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু॥ দুটি মামলা দায়ের গোবিন্দগঞ্জের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কোচাশহর শাখায় রহস্যজনক ডাকাতি সংঘটিত॥টাকা লুট শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে রুয়েট ভিসির পদত্যাগ ফুলবাড়ীতে সেতু নির্মাণে ঠিকাদারের খেয়ালিপনা,ভোগান্তির শেষ নেই দির্ঘ দেড় বছরেও শেষ হয়নি নির্মান কাজ লালপুরে ওয়াটার সাপ্লাই স্কীম নির্মাণ কাজের উদ্বোধন  তালা থানা বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত মাধবপুরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শিবগঞ্জে বঙ্গবন্ধু’র জুলিও কুরি শান্তি পদক  প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা  আর্জেন্টিনায় যাচ্ছে উখিয়া ক্যাম্পের ৭ রোহিঙ্গা কর্ণফুলীতে ইভটিজিংয়ের দায়ে যুবকের ১৫ দিনের কারাদণ্ড

গাইবান্ধায় পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে কাজ করছে “ফ্রেন্ডশিপ”

  • আপডেট করা হয়েছে : শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬৯ বার দেখা হয়েছে

ফারুক হোসেন;
গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া
মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি সংগঠন ফ্রেন্ডশিপ। এরই ধারাবাহিকতায় লুক্সেমবার্গ এর অর্থায়নে ও ফ্রেন্ডশিপ এর ট্র্যান্সিশন ফান্ড এ.এস.ডি (এ্যাস্সিটেন্ট ফর সাস্টেনেবল ডিভিলপমেন্ট সহযোগীতায় গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার কামারজানী,সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী, কাপাশিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নে দুইশতাধিক পরিবারকে উন্নতজাতের ভেড়া প্রদান সহ সব্জির বীজ প্রদানের মধ্য দিয়ে আর্থিক স্বচ্ছলতার মুখ দেখানো সহ নারীদেরকে কাজের সুযোগ মিলাতে কাজ করছে অলাভজনক, অরাজনৈতিক এবং সেবামূলক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডশিপ। টেকসই উন্নয়নে সহায়ক)প্রকল্প হিসেবে কাজটি করছে। ২০১৭ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়ে ২০২২ এর ডিসেম্বর অবধি গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ ৩ উপজেলায় কামারজানী, এরেন্ডাবাড়ী, কাপাশিয়া ও হরিপুর ৪ ইউনিয়নের ৭ টি চরে প্রতিটি চরে ৩০ জন করে মোট ২১০ জন সুবিধাভোগ করছে।

ফ্রেন্ডশিপ২০০২ সাল হতে বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রবন অঞ্চলে, বিশেষ করে চর ও উপকুলীয় এলাকায় দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। টেকসই উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের সহায়ক হিসাবে দরিদ্র মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, সংস্কৃতির রক্ষন, সুশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন ফ্রেন্ডশিপের অন্যতম কার্যক্রম।
আয় বৃদ্ধিমূলক কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও দুর্যোগ সহনশীল সক্রিয় সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে দারিদ্রতা দূরিকরণ ও জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নই হলো এই প্রকল্পের লক্ষ্য। সে সাথে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও সঞ্চয় তহবিল গঠনে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে চিহ্নিত অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।

জীবিকায়নের মান উন্নয়নে সরকারী সেবাদানকারী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমুহে অতিদরিদ্রের প্রবেশাধিকারের সুযোগ সৃষ্টি/বৃদ্ধি করা। এ্যাডভোকেসি সহায়তায় স্থানীয় সম্পদ সন্নিবেশিত করনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর ভৌগলিক দুর্দশাগ্রস্থতা হ্রাসকরণ এবং স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা প্রদান এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

কার্যক্রমের ধাপের মধ্যে রয়েছে বেজলাইন সার্ভে, কমিটি গঠন, সিভিল সোসাইটি কমিটি গঠন, স্থানীয় প্রকল্প সহায়ক কর্মী নিয়োগ ( এফ.সি.জি.এ) সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাপ্তাহিক ও মাসিক উঠান বৈঠক পরিচালনা, কৃষি ও অন্তর্ভুক্তিমুলক নাগনিকত্ব বিষয়ক। উপজেলা প্রানি ও কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের প্রশিক্ষন ও স্থায়ী যোগাযোগ স্থাপন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন। সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের সাথে সমন্বয়ের/যোগাযোগের মাধ্যমে সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অন্তর্ভুক্ত করণ ও সহায়তা প্রদান করা।

রাস্তা-ঘাট উন্নয়নে সরকারী দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা। গন নাটক প্রদর্শনের মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করা।
এন্ডলাইন সার্ভে / ইভালুয়েশান।

প্রকল্প কর্তৃক সহায়তার মধ্যে রয়েছে
বছরে ২ বার ১০-১৬ প্রকার সবজি বীজ প্রদান। বীজ সংরক্ষনের জিপলক ব্যাগ প্রদান। বীজ সংরক্ষনের কন্টিনার প্রদান।সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ প্রদান লিউর সহ।
ভেড়া প্রদান-২১০টি।

ভেড়ার কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত জাত সৃষ্টি করা। ( বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরী সহায়তায়) অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে দূর্যোগ সহনশীল সমাজে রূপান্তরিত হয়েছে।
পরিবারের খাবার খরচ কমেছে ফলে উন্নয়ন দ্রুত হচ্ছে। মহিলাদের কাজে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ফলে নারী ক্ষমতায়ন হচ্ছে। আধুনিক চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হয়েছে। পতিত জমি আবাদ হয়েছে। জৈব সার ও ক্রীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে। সুনাগরিক হিসাবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। রাষ্ট্রের প্রচলিত সামাজিক আইন সম্পর্কে অবগত হয়েছে। সরকারী সেবামুলক প্রতিষ্ঠান/অধিদপ্তরের সহিদ যোগাযোগ বেড়েছে, ফলে সরকারী সুযোগ-সুবিধা যথাযথ ভাবে পাচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাদারীপাড়ার বাসিন্দা ও ফ্রেন্ডশিপ এ.এস.ডি প্রকল্পের সদস্য মতিজান বেগম (২৮) জানান- তার স্বামী তিন মেয়ে ও শশুর সহ ছয় জন সদস্য নিয়ে তার পরিবার। তার স্বামী ফরহাদ হোসনে দিনমজুরের কাজ করেন, অভাব অনটনে তার দিন কাটে। জীবনে তারা পাঁচ বার নদী ভাঙনের স্বীকার হন । সর্বশেষ নদী ভাঙনের স্বীকার হয়ে চর মাদারীপারায় এসে নয় শতাংশ জায়গা লিজ নিয়ে তার উপর সাত শতাংশ জায়গায় বসতবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন।

“মতিজান বেগম” ফ্রেন্ডশিপ (এ.এস.ডি) প্রকল্প হতে কৃষি ও প্রাণীসম্পদের উপর প্রশিক্ষন এর পাশাপাশি ফ্রেন্ডশিপ থেকে বিভিন্ন প্রকার শাক – সবজির বীজ পান। তিনি বীজগুলো বাড়ির আঙিনায় ও পাশের দুই শতাংশ জমিতে চাষ করায় প্রচুর পরিমানে শাক-সবজি হওয়ায় নিজেদের পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তিনি বাজারে বিক্রি করে ৮,০০০ (আট হাজার টাকা) লাভ করেন। তিনি চিন্তা করেন তার পরিবারের আয় কিভাবে বাড়ানো যায় এ বিষয় নিয়ে সাপ্তাহিক সভায় তিনি জানতে পারেন যে, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় বয়স্ক ব্যক্তিদের বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয়। তার শশুরের জন্য ফ্রেন্ডশিপ কর্মকর্তা ওয়ার্ড মেম্বারকে অনুরোধ করলে ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার তার শশুরকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন । এখন তার শশুর প্রতি মাসে ৫০০ (পাঁচশত টাকা) পান । মেয়েরা বিদ্যালয় থেকে উপবৃত্তির টাকা পায় । তাকে ফ্রেন্ডশিপ থেকে একটি ভেড়া দেওয়া হয়, কিছুদিন পরে তার ভেড়ী আরও একটি বাচ্চা দিয়েছে , তারপর ফ্রেন্ডশিপ মা ভেড়ীকে উন্নত জাতের বীজ প্রদান করায়, সেখান থেকে আরও দুইটি বাচ্চা হয় র্বতমানে তার চারটি ভেড়া রয়েছে । তিনি আশা করেন উন্নত জাতের বাচ্চা দিয়ে ভেড়ার খামার তৈরি করবেন। তিনি সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখচ্ছেন ও ফ্রেন্ডশিপ প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।

“এ প্রসঙ্গে প্রজেক্ট ম্যানেজার দিবাকর বিশ্বাস” বলেন, গাইবান্ধার বিভিন্ন চরে দুইশতাধিক পরিবার মতিজান বেগমের মত সফল হয়েছে, তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।

বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন

এরকম আরও বার্তা
স্বত্ব © ২০১৫-২০২২ এশিয়ান বার্তা  

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft