লাশ ফেলার হুমকি দিয়েই তাণ্ডব!
চট্টগ্রাম ব্যুরো :
গত সোমবার বহদ্দারহাট মোড়ে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা ও তাণ্ডবের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক লীগ। সংগঠনের কালুরঘাট শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যস্ততম জংশন বহদ্দারহাট মোড় কেন্দ্রিক ৪,৫,১৪ নম্বর রুটে চলাচল করা অটোটেম্পো থামিয়ে প্রতিদিন চাঁদা আদায়ে লিপ্ত একদল সন্ত্রাসী। চাঁদা না দিলেই হামলা-গাড়ি ভাংচুর থেকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়।
সম্প্রতি চাঁদাবাজদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে ব্যাপক হুমকির মুখে ছিল টেম্পো চালকরা। গত শনিবার অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক লীগ নেতা মিজানকে ফোন করে হুমকি দেয় বহদ্দারহাটের স্থানীয় চাঁদাবাজ সোলায়মান। সেই অডিও রেকর্ড ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এতে সোলায়মানকে স্পষ্ট বলতে শোনা যায়, চাঁদাবাজিতে বাধা আসলে প্রয়োজনে ২/৩ টা লাশ পড়বে বহদ্দারহাটে। তবুও তারা থামবে না৷ যেই কথা সেই কাজ চাঁদাবাজদের। এরি প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে সশস্ত্র দলবল নিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে নেতৃত্ব দেয় সোলায়মান, ডাকাত বাবুল, মামুন, হান্নান, আইয়ুবসহ ৩০/৪০ জন।
সোলায়মানের বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে এবং তালিকাভুক্ত শীর্ষ ছিনতাইকারী বুইশ্যার আপন দুলাভাই।
সোমবার দুপুর আনুমানিক ৩ টার পর বহদ্দারহাট মোড়ে টেম্পো চালকদের দাঁড় করিয়ে মারধর, নাজেহাল করা হচ্ছিল৷ খবর পেয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক লীগ নেতারা৷ এতে অন্তত ৭-৮ জন আহত হন। অথচ পুলিশের সামনে ঘটনা হতে দেখেও এগিয়ে আসেনি কেউ। সংগঠনের ৪,৫,১৪ নম্বর সড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম জুয়েল ও গাড়ি চালক-নিরীহ পথচারীসহ চারজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত অন্যান্যরা হলেন- মহররম আলী, মহিউদ্দিন, তৈয়ব। পেশায় তারা টেম্পু চালক। ঘটনাস্থল বহদ্দারহাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে। তবুও কেউ এগিয়ে আসেনি, টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি শান্তিপ্রিয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বিব্রতকর, লজ্জাজনক। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে যে পুলিশ, তাদের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় আমরা মর্মাহত। ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও মামলা নিতে গড়িমসি করছে পুলিশ।
চাঁদাবাজরা চিহ্নিত, তবুও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ‘চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক লীগের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
বহদ্দারহাট মোড়ে টেম্পো থামিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে আমরা বদ্ধপরিকর।