(প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলছেনে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে ইসলামের পরিবর্তে কোন না কোন মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত আছে। বিশ্বের মানুষ দীর্ঘ কাল পর্যন্ত মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে অবৈধ নেতাদের আনুগত্যে বন্দি হয়ে আছে। যার কারণে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিভিন্ন রকমের আযাব-গযব বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। মানুষে মানুষে বিভক্ত হওয়া এবং অর্থ-সম্পদের মোহ ও ক্ষমতা, আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া মূলত আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গযবেরই অংশ। তিনি বলেন, মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে চলার কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী রাজনীতির নামে মানুষে মানুষে সংঘাত ও সংঘর্ষ চলছে, সংঘাত ও সংঘর্ষের মাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিংষা-প্রতিহিংষা এবং মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা ক্রমেই বেড়ে চলছে, দূর্বলের উপর শক্তিমানের শোষন ও জুলুম চলছে, ক্ষমতাসীনদের লুট-পাট ও অরাজকতা সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করছে।
আজ ২৩ অক্টোবর, ২০২২; (রবিবার) সকাল ১১:৩০ টায় ইসলামী সমাজের উদ্যোগে “বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সংঘাতময় রাজনীতি, এথেকে উত্তরণের উপায়” বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতা জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর সঞ্চালনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মলেনে ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলনে, দূর্নীতি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বিশ্বের মানুষের জীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে এবং ধর্মের নামেও সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গিবাদী অপতৎপরতার বিস্তার ঘটছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক অংগনে চরম নৈরাজ্য চলছে। গণতন্ত্র জাতির মানুষকে বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত করে সংঘাত ও সংঘর্ষের পথে দেশবাসীকে ঠেলে দিয়েছে। সরকার ও সরকার বিরোধীরা ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে আছে। গণতন্ত্রের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোন মূহুর্তে উভয় পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে- একথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংঘাত ও সংঘর্ষের কারণে জাতীয় জীবনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, সংঘাতময় রাজনীতির কারণে মানবতা আজ ধ্বংসের মুখোমুখী। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে রাজনৈতিক অঙ্গনে সংঘাতময় অবস্থা বিরাজ করছে। মানব রচিত ব্যবস্থার সংঘাতময় রাজনীতি বিশ্বের মানুষকে দুনিয়ার জীবনে মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি করেছে এবং তাদের আখিরাতের জীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। রাশিয়ার-ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষিতে চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা ইউক্রেনের পক্ষ নেওয়ায় গোটা বিশ্ব তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মুখোমুখী অবস্থান করছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে হুমকী-ধমকী দিচ্ছে এবং অর্থনৈতিক অবরোধের নামে অবৈধ নেতারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেই চলছে। তিনি বলেন, বিশ্বে চলমান রাজনীতি আজ সংঘাতময় রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে। সংঘাতময় রাজনীতির অবসান না হলে বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিবে, বিশ্ববাসী চরম দুর্ভিক্ষের শিকার হবে। ইতিমধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও তেল সংকট দেখা দিয়েছে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতিতে সাধারণ মানুষের জীবনে সংকট দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ও ধ্বংস থেকে বাঁচতে হলে মানব রচিত ব্যবস্থার সংঘাতময় রাজনীতি মূলোৎপাটন করতে হবে এবং সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ লক্ষ্যেই “ইসলামী সমাজ” সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সংগঠনের আমীর বলেন, ইসলামী সমাজ সকলের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তিনি দল, মত নির্বিশেষে সকলকে ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে ইসলাম প্রতষ্ঠিার ঈমানী, নৈতিক ও মানবকি দায়িত্ব পালনের আহবান জানান এবং সকল মানুষের কল্যাণে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ তিন দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন। ঘোষিত কর্মসূচী সমূহ হচ্ছে- ১) দেশ ও জাতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণের সাথে মত-বিনিময়। ২) প্রচলিত রাজনৈতিক ও ইসলামী দলসমূহের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা। ৩) রাজধানী ঢাকার মেট্রোপলিটন এরিয়ার ৮টি বিভাগে ৮টি শান্তি সমাবেশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। প্রথম শান্তি সমাবেশ- ০৫ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার) ওয়ারী বিভাগ। দ্বিতীয় শান্তি সমাবেশ- ১২ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার) লালবাগ বিভাগ। তৃতীয় শান্তি সমাবেশ- ১৯ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার), মতিঝিল বিভাগ। চতুর্থ শান্তি সমাবেশ- ২৬ নভেম্বর ২০২২, (শনিবার), রমনা বিভাগ। পঞ্চম শান্তি সমাবেশ- ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, (শনিবার), গুলশান বিভাগ। ষষ্ঠ শান্তি সমাবেশ- ১১ ডিসেম্বর ২০২২, (রবিবার), মিরপুর বিভাগ। সপ্তম শান্তি সমাবেশ- ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, (শনিবার), উত্তরা বিভাগ। অষ্টম শান্তি সমাবেশ- ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, (শনিবার), তেজগাঁও বিভাগ।