আব্দুল লতিফ তালুকদার, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পেট ব্যাথা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নির্ধারিত শয্যার বাইরেও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে রোগীরা। এছাড়া চোখ উঠা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চোখের ড্রপের সংকট তৈরি হয়েছে। এতে বেশি দামে ড্রপ কিনতে হচ্ছে রোগীদের।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে রোগী ও স্বজনরা। তবে বেড সংকটের কারণে রোগীদের স্থান দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ভূঞাপুর উপজেলাসহ পাশর্^বর্তি ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার মানুষজন ভূঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নেয়। এতে বাড়তি রোগীর চাপ বাড়ে হাসপাতালে। ফলে বিভিন্ন মৌসুমে রোগীর চাপ বেড়ে যায়। তবে গেল কয়েকদিন ধরেই ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে বেডগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ হওয়ার পরও হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। এতে হাসপাতালে রোগীরা অধিকাংশ পেটের ব্যাথা, ডায়রিয়া ও শ^াসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। তবে উপজেলায় বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়ন বা ক্লিনিকে ভর্তির হয়ে চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় হাসপাতালেই ভর্তি হচ্ছে রোগীরা। এছাড়া উপজেলায় চোখ উঠার রোগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে চোখের ড্রপের সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে বেশি দামেও মিলছে না চোখের ড্রপ।
কালিহাতী উপজেলার চরহামজানী গ্রামের রোগী খাদিজা বেগম বলেন, দুইদিন আগে পেটের ব্যথা অনুভব করায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। তবে হাসপাতালে বেড না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও স্বজনরা জানান, হাসপাতালে বেড সংকট। চিকিৎসা সেবা ভাল হলেও বারান্দায় থাকতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে। ডায়রিয়ার রোগীরাও বেড না পেয়ে বারান্দায় থাকছে।
হাসপাতালের নার্স খালেদা আক্তার জানান, বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি। বেড সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে বারান্দায়।
ভূঞাপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এনামুল হক সোহেল বলেন, উপজেলা ছাড়াও আশপাশের আরো তিনটি উপজেলার মানুষজন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। এছাড়া হাসপাতালে ওষুধ পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আউটডোরেও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বারান্দাতে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে।