সীমান্ত হত্যার দায় শেখ হাসিনা এড়াতে পারেন না বলে এক বিবৃতিতে মত প্রকাশ করেছেন নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন।
গতকাল ৯ অক্টোবর ২০২২ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন একথা বলেন। তিনি আজ সাতক্ষীরা সীমান্তে হাসানুর রহমান (২৫) ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে মুনতাজ হোসেন (৪০) নামে দুই বাংলাদেশীকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষি বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত যতজন বাংলাদেশী নাগরিককে বিএসএফ হত্যা করেছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবী জানান।
তিনি বলেন, “একাত্তরের প্রতিদানে আর কত রক্ত নিবে ভারত। চীন-মায়ানমার-নেপাল-ভুটান-পাকিস্তান সীমান্তে তারা সাহস না পেলেও বাংলাদেশ সীমান্তে অহরহ বিনা বিচারে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করছে ভারত। সার্বভৌমত্ব লংঘন করছে প্রায়ই। কিন্তু দিল্লীর অনুগত সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো নিশ্চুপ। বুদ্ধিজীবি ও গণমাধ্যম রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ। দেশের নাগরিকদের বিনা বিচারে হত্যা করছে এর দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এড়াতে পারেন না। নাগরিকদের জানমাল রক্ষার ব্যর্থতার দায় সরকারকে বহন করতে হবে।”
নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন আরও বলেন, “স্বামী-স্ত্রী কিংবা রক্তের সম্পর্ক কখনও জীবনঘাতি হয়না। এই সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেমন স্বামী-স্ত্রী কিংবা রক্তের সম্পর্ক পেতেছেন যে নিরস্ত্র নিরীহ সাধারণ নাগরিকদের ওরা হত্যা করে, যখম করে, লাশ নিয়ে যায়?”
তিনি বলেন, ফেলানী হত্যার বিচার বাংলাদেশ পায়নি বলে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষি বাহিনী বিএসএফ। অবিলম্বে ফেলানীসহ সকল বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে সরকারকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।