স্টাফ রিপোর্টার ঃ বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের ঘোড়াধাপ বন্দরের ৭/৮ টি দোকান অবরুদ্ধ করে রাতের অন্ধকারে প্রাচির নির্মান, সুষ্ঠ সমাধান চায় ব্যবসায়ী বৃন্দ।
সরে জমিনে ও বাদী বিবাদী এবং ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘী মৌজার ঘোড়াধাপ বন্দরের ১২ শতাংশ জমির উপরে ২৫/৩০ বছর পূর্বে পৌত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত মোকলেছার রহমান মাষ্টার সেখানে ৭/৮ টি দোকান ঘর নির্মান করে দোকানদারদেরকে দোকান ঘর ভাড়া দেয়। সেখানে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রকার জিনিপত্র, লেদ, বেকারী ও ঐষধের দোকান দিয়ে সুনামের সহিত ব্যবসা করে আসছে। বেকারীর ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন আমি এখানে দোকান ভাড়া নিয়ে ২৩ বছর,আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম লেদের দোকান দিয়ে ২২/২৩ বছর, মোটর সাইকেল মেকারনিক্স জিয়াউল হক ৮/৯/ বছর, কীট নাশকের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক ৪/৫ বছর, কাপড়ের ব্যবসায়ী জিল্লুর ২৪/২৫ বছর , শাহিন ১৫/১৬ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছেন। তারা জানান ১০/১০/২২ ইং তারিখে সকালে এসে দেখি কে বা কারা রাতের অন্ধকারে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ৪/৫ ফুট উঁচু করে বরাবর ইটের প্রাচির দিয়ে ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। কোন প্রকার ক্রয় বিক্রয় করতে পারছিনা। এ অবস্থা থাকলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। আমরা সাধারন ব্যবসায়ী গণ এর দ্রুত সমাধান চাই। এব্যাপারে মোকলেছার রহমান মাষ্টারের পুত্র শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান জমিটি আমার পিতার দাদার। সে সূত্র ধরেই আমরাই জমির প্রকৃত মালিক। আমার বাবা এ দাগের ১২ শতাংশ জমি আমাদের সব ভাই এর নামে কবলা লিখে দিলে আমরা তা খাজনা, খারিজ করে দোকান ঘর ভাড়া দেই। সকল কাগজ পত্র আমাদের নামে। প্রতি পক্ষ বকুলদের জমির কোন কাগজ না থাকার পরও জমিটি নিজেদের বলে দাবী করছে । তারা এ জমির বিষয়ে আদালতে ইনজেংশন চাইলে আদালত তাদের কাগজ নাপ থাকায় তা বাতিল করে দেয়। তিনি আরও জানান মৃত আছির উদ্দিনের পুত্র বাবলু, বকুল এব্ং তাদের ছেলেরা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয় ৯/১০/২২ ইং তারিখ দিনগত গভীর রাতে আমাদের জায়গা জবর দখলের উদ্যেশে ইটের প্রাচির দিয়ে ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করেছে। আমরা প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠ বিচার চাই। এব্যাপারে মৃত আছির উদ্দিনের পুত্র বকুল জানান জমিটি আমাদেরই পৈত্রিক। , মাষ্টার ও তার পুত্ররা জোর করে আমাদের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়েছে। সকল কাগজ পত্র আমাদের নামে রয়েছে।উল্লেখ্য যে, জায়গাটির দ্রুত সুষ্ঠ সমাধান না হলে ব্যবসায়ীরা পথে বসবে আর বাদী ও বিবাদীদের মাঝে যে কোন মহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ঘটতে পারে বলে বন্দরের সাধারণ ব্যবসায়ী ও অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।