জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আলোচিত সাজেদা হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। হত্যার নেপথ্যে রয়েছে পরকীয়া। এই হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন পর মূল হত্যাকারী মোঃ রাব্বি হোসেনকে (২৩ ) গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম আজ প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান, জয়পুরহাটের একটি প্রাইভেট স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আবু সাঈদ (২৩) এই হত্যাকাণ্ডের সহযোগী। সে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাজেদা ইসলাম সাজুর সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলো। গত ২৭ সেপ্টেম্বর সাজেদার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিতে গেলে আবু সাঈদ ফোনে জানতে পারে তার বাড়ি ফাঁকা। এই সুযোগে সে তার বন্ধু রাব্বিকে নিয়ে সাজেদার বাড়িতে যায়। তারা দুজনই তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে সাজদা এতে রাজি না হওয়ায় আবু সাইদ সাজেদার বুকের উপর উঠে বসে এবং রাব্বি পা চেপে ধরে। পরে আবু সাঈদ সাজেদার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত মাসের ২৯ তারিখে সাজেদার স্বামী মোঃ হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে পুলিশ সুপার মোঃ নূরে আলম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশফেকুর রহমান, জয়পুরহাট সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ও ডিবির ওসি জনাব মোঃ শাহেদ আল মামুনকে দায়িত্ব দেন। পরে পুলিশের এই টিমটি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন পর হত্যাকারী জয়পুরহাটের খন্দপুর এলাকার অধিবাসী রাব্বি হোসেনকে (২৩ ) দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত রাব্বি হোসেন এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক আবু সাঈদকেও গ্রেফতার করা হয়।