1. aknannu1964@gmail.com : AK Nannu : AK Nannu
  2. admin@asianbarta24.com : arifulweb :
  3. angelhome191@gmail.com : Mahbubul Mannan : Mahbubul Mannan
  4. info@asianbarta24.com : Dev Team : Dev Team
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হামলার শিকার এক পরিবার ১ টাকার সহযোগিতায় বেঁচে যায় জীবন ! ভাইয়ের জন্য বোনের কিডনি দান তাড়াশে প্রেমিকের হাত ধরে প্রেমিকা উধাও , প্রেমিকসহ পরিবারের উপর মামলা বাগাতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা গোবিন্দগঞ্জে নারী সহ ২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু॥ দুটি মামলা দায়ের গোবিন্দগঞ্জের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কোচাশহর শাখায় রহস্যজনক ডাকাতি সংঘটিত॥টাকা লুট শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে রুয়েট ভিসির পদত্যাগ ফুলবাড়ীতে সেতু নির্মাণে ঠিকাদারের খেয়ালিপনা,ভোগান্তির শেষ নেই দির্ঘ দেড় বছরেও শেষ হয়নি নির্মান কাজ লালপুরে ওয়াটার সাপ্লাই স্কীম নির্মাণ কাজের উদ্বোধন  তালা থানা বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রবৃদ্ধিতে চীন, ভারত ও পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ

  • আপডেট করা হয়েছে : রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ৪০ বার দেখা হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও চলতি ও আগামী বছরে অর্থনৈতিক মন্দার ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে। এ মন্দা মোকাবিলা করে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হার রেকর্ড পরিমাণে বাড়বে।

ওই বছর বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বর্তমানে এগিয়ে থাকা চীন ও ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। এমনকি উন্নত দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বেশি হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ থাকবে শীর্ষ অবস্থানে। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকার থেকেও বেশি প্রবৃদ্ধি হবে বাংলাদেশের।

বুধবার রাতে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ‘ওয়াল্ড ইকনোমিক আউটলুক’ শীর্ষ প্রতিবেদনে এ ধরনের পূর্বাভাস দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের ঘাটতি আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই সময় পর্যন্ত সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হবে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রায় ঘাটতি থাকবে। ঘাটতির কারণে ডলারের বাজারে সংকট কম-বেশি থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার কারণে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২০১৯-২০ অর্থবছরে কমে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে আইএমএফের মতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু সরকারের হিসাবে ওই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে আইএমএফ সরকারের ওই তথ্য মানতে নারাজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ও আগামী বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে। মন্দার পর বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে। যা চীন, ভারত, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। তবে বাংলাদেশের চেয়ে যুক্তরাজ্য, উগান্ডা ও মোজাম্বিকের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। বাকি সব দেশের চেয়ে এ দেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে।

অর্থাৎ ১৬০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধিতে চতুর্থ অবস্থানে থাকবে। শীর্ষে থাকবে মোজাম্বিক, তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ১১ দশমিক ২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে উগান্ডা, তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকবে যুক্তরাজ্য, তাদের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রবৃদ্ধির হার সব সময়ই বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হয়। কিন্তু এবারের পূর্বাভাসে তাদের প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে সামান্য নিচে নেমে যাচ্ছে। এ হার হবে ভারতের ৭.২ শতাংশ। চীনের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি হয়। বলতে গেলে তারা প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষ অবস্থানে থাকে। কিন্তু ২০২৫ সালে তাদের প্রবৃদ্ধির হার হবে সাড়ে ৫ শতাংশ। যা বাংলাদেশের চেয়ে কম।

এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভুটানের ৬ শতাংশ, মালদ্বীপের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, মায়ানমারের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, নেপালের ৫ শতাংশ, শ্রীলংকার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, আফগানিস্তানের ৪ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ৫ শতাংশ।

এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ৫ দশমিক ১ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৫ শতাংশ, ফিলিপাইনের সাড়ে ৬ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, ভিয়েতনামের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, তুরস্কের সাড়ে ৩ শতাংশ, সৌদি আরবের ২ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে মোট জিডিপির আকারের তুলনায় ঘাটতি ২০১৯ সালে ছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০২০ সালে ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২১ সালে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা কিছুটা কমে ১ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।

ভুটানে এখন চলতি হিসাবে থাকলেও ২০২৫ সালে উদ্বৃত্ত হবে। চীনের কোনো ঘাটতি নেই। ভারতের ঘাটতি বেড়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। ইন্দোনেশিয়ার হবে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। মালদ্বীপের সাড়ে ৫ শতাংশ। মায়ানমারের ৪ শতাংশ। নেপালের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। শ্রীলংকার ২ দশমিক ৪ শতাংশ। থাইল্যান্ডের চলতি হিসাবে কোনো ঘাটতি নেই, বরং তাদের উদ্বৃত্ত হবে ৪ শতাংশ। আফগানিস্তানের ৭ শতাংশ উদ্বৃত্ত হবে। পাকিস্তানের ২ দশমিক ৭ শতাংশ ঘাটতি হবে।

এতে বলা হয়, করোনার পর বাংলাদেশে লকডাউনের শুরুতে রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রথমে কমে গিয়েছিল। পরে ফের বেড়ে যায়। পরবর্তীতে তা আবার কমে গেছে। এখন রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য সরকার চেষ্টা করছে। এ জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।

বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন

এরকম আরও বার্তা
স্বত্ব © ২০১৫-২০২২ এশিয়ান বার্তা  

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft