মোঃ জাকির হোসেন রনি ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ রায়গঞ্জ উপজেলা ধামাইনগর ইউনিয়নের আন্দ্রা ব্লকের বাঁকাই গ্রামে নিজ উদ্দ্যোগে ৬০ বিঘা জমিতে সমালয় ও ৬০টি স্থায়ী আলোক ফাঁদ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা ধামাইনগর ইউনিয়নের বাঁকাই গ্রামে নিজ উদ্দ্যোগে ৬০ বিঘা জমিতে সমালয় পদ্ধতিতে ধানের চাষ করেন রায়গঞ্জ উপজেলার সুদক্ষ চ্যায়ারমেন…. সাবেক এমপি ইসাহাগ হোসেন তালুকদারে ছোট পুত্র জনাব এডভোকেট ইমরুল তালুকদার ইমন…. জানা যায় রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি ৬০ বিঘা জমিতে সমালয় পদ্ধতিতে ধানের চাষ করেন…সেখানে নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যোমে ধানের চাষ হয়েছে… জমিতে চাষের জন্য ট্রেতে বিজতলা করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান লাগান হয় এবং কীটনাশক ব্যাবহারের পরিবর্তে ৬০ টি স্থায়ী আলোক ফাঁদ দিয়ে পোকামাকড় দমন করেন….ধামাইনগর ইউনিয়নের আন্দ্রা ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ আল আমিন এর সাথে কথা বলে জানা যায়…. এই প্রযুক্তিতে ধান চাষ করে ধানের সর্বোচ্চ টিলারিং হয়েছে গড়ে ২৩-২৪ টা এবং সবগুলো কুষিতেই ধান দেখা যাচ্ছে তিনি আশা করেন বাম্পার একটা ফলন হবে যা সাধারণ পদ্ধতিতে চাষ করলে সম্ভব না। এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে স্থায়ি আলোক ফাঁদ অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। স্থায়ী আলোক ফাঁদে প্রযুক্তির বিষয়ে তিনি জানান, একটি স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে ৩ টি চিকন রড দিয়ে যেখানে একটা ৫ ওয়াডের সোলার প্যানেল এবং রিচার্জেবল ছোট ব্যাটারি লাগানো হয়েছে যা সারাদিন সূর্যের আলোতে চার্জ হয় এবং সেখানে লাগানো লাইটে সেন্সর আছে যা সূর্যের আলো নিভে গেলে সয়ংক্রিয় ভাবে জলে উঠবে এবং পোকামাকড়কে আকৃষ্ট করবে…. আর স্ট্যানে থাকা সাবান গোলা পানির পাত্রে পোকা পরে মারা যাবে…এখানে একটি আলোক ফাঁদে সব মিলে ৫৫০ টাকা খরচ হবে বলে জানান….সম্পূর্ণ কীটনাশক মূক্ত এই প্রজেক্ট দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে অনেক কৃষক…. আগামীতে এই প্রযুক্তি ছরিয়ে পরবে বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।