জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাট ক্ষেতলালে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ফজলুর রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটক ফজলুর রহমান ক্ষেতলাল উপজেলার রামপুরা গ্রামের মৃত আজিমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে যানা গেছে, আটক ফজলুর রহমান ক্ষেতলাল উপজেলার গ্রামাঞ্চলের এক গৃহবধূকে (২১) দীর্ঘ দিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূ রাতের খাবার খেয়া ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়ার সময় ফজলুর কৌশলে তার শয়নকক্ষে ঢুকে ঝাপটে ধরে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ফজলুরকে হাতেনাতে আটক করে। পরে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে থানা পুলিশে সোর্পদ করেন। পরে নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ফজলুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ফজলুর রহমানের ভাতিজা মাছুম বলেন, ফজলুর আমার চাচা তিনি ওই গৃহবধূকে ধর্ষন চেষ্টা করেন নি৷ আমার চাচার কাছ থেকে মেলা করার জন্য টাকা নিয়েছিলো ওই মহিলা। সেই টাকা লেন-দেনে ঝামেলা হওয়ায় চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে৷
স্থানিয়রা জানান, এ ঘটনার সময় মেয়েটি মীমাংসা করতে চেয়েছিলো মামলা করতে চায়নি। তার স্বামী মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তার দাবি পূরণ না করায় সাজনো মামলায় ফাঁসানো হয়ছে ফজলুরকে৷
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রওশন ইয়াজিদনী গৃহবধূর বরাত দিয়ে জানান, শুক্রবার রাতে ওই নারী তার বাচ্চাকে দুধ পান করিয়ে শোয়ার প্রস্তুতি নিলে ওই বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ফজলুর। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।