জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বিয়ের দাবিতে মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা প্রেমিক রিপনের বাড়িতে অনশন করে প্রেমিকা তাসলিমা আক্তার শাপলা (২৮)। বেকায়দায় পরে রিপন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের সান্জাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তা সান্জাপাড়া গ্রামের আবুল কশেম এর ছেলে রিপন হোসেন (২৩) ও মিনিগাড়ী গ্রামের দুলালের মেয়ে তাসলিমা আক্তার শাপলার (২৮) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ দেড় বছর প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে শাপলা রিপনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় আজ সকালে রিপনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে শাপলা।
পরে স্থানীয় বাবু মন্ডলের নেতৃত্বে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ দুপক্ষের স্বজনদের ডেকে বিয়ের মাধ্যমে আপোষ- মিমাংসা করবার চেষ্টা করলে ছেলে বিয়েতে রাজি হয়, এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হবে এই মর্মে ছেলে বাড়িতে গিয়ে আর ঘটনাস্থলে ফিরে আসেনিi। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী শাপলা বলেন, আমি বগুড়া আযিজুল হক কলেজ হতে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। রিপনের সাথে আমার দেড় বছরের প্রেম এবং খুব গভীর সম্পর্ক। রিপন আমার অনেক জুনিয়র তবুও প্রেমের সম্পর্ক হয়ে গেছে। আমি তাকে বিয়ের উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে আজ অনশন করেছি। স্থানীয়রা বিষয়টি মিটিয়ে দিবে বলে আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমাদের দুজনার মধ্যে কথা হয়েছে ছেলে আমাকে বিয়ে করতে রাজি আছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রিপনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখানে কি মানুষ মারা গেছে নাকি কোন দূর্ঘটনা ঘটেছে আপনারা কেন এসেছেন। আমি মেয়েকে বিয়ে করবো।
স্থানীয়দের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানায়, ওই মেয়ে বয়সে রিপনের অনেক বড় তবুও ছেলেটাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফাসিয়েছে। মেয়েটি ইতিপূর্বেও বগুড়ায় লেখাপড়াকালে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও শুনেছি। তাছাড়া মেয়েটিও ভালো স্বভাবের নয়।
স্থানীয়রা আরো জানায়, শাপলা চৌমনীবাজার ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় চাকুরি করে। ওই ব্যাংকের বাসা মালিক বাবু মন্ডলের সংঙ্গে বিভিন্ন সময় ঘুরতে দেখা গেছে। এমনকি রাত বিরাতেও মেয়েটিকে তার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসেন বাবু মন্ডল৷
এব্যপারে বাবু মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ব্যাংকিং এজেন্ট শাখায় চাকুরি করি, সেও চাকুরী করে। চাকুরির সুবাধে তাকে সময় গিয়েছি। তাতে কি হয়েছে?
মামুদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য হেলাল উদ্দীন বলেন, আমার গ্রামের লোক মারফতে জানতে পারি ওই মেয়েটি সকালে মামুদপুর ইউনিয়ন উদ্যোক্তা রিপনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করে। পরে আমরা বিষয়টি বিয়ের মাধ্যমে আপোষ মীমাংসা করার চেষ্টা করি এবং এক পর্যায়ে ছেলে রাজিও হয়। এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হবে সব ঠিকঠাক দুপুরে বিয়ে। এরমধ্যেই ছেলে রিপন বাড়ি থেকে পালিয়েছে৷