কায়সার হামিদ মানিক,স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সৈকতের সকল ধর্মের মানুষের জমায়েত বলে দেয়, এ দেশে জঙ্গীবাদের অবস্থান নেয়। মৌলভীবাদীরা এদেশে অরাজকতার প্রশ্রয় পায় না। একটি গোষ্ঠীর বাংলার মানুষের সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতিতে আঘাত করছে। বার বার তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তাদের প্রতিহত করছে। আশাকরি আগামীতে এ ধরণের গোষ্ঠী আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।
বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অস্থিত্ব রক্ষার নির্বাচন বলে মনে করে নওফেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সকল ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও সকলের ত্যাগে এতদূর এসেছে এই দেশ। কিন্তু অপশক্তি যদি আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশ ধ্বংস হয়েছে। তখন আওয়ামী লীগের লোকজনসহ সংখ্যালঘুরা অপশক্তির কাছে নির্যাতি হবে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনের জিতে আবারো শেষ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
নওফেল বলেন ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মের মানুষের অংগ্রহণে ঈদ, পূজা, প্রবারণা ও বড়দিন পালিত হয়। বিজয়া দশমীর এ মহামিলন মেলার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই বিসর্জনের মাধ্যমে যেন সকল অসুর শক্তি বিতাড়িত হয়, এই কামনা করছি।’
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জল করের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেন্ট দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিমা বিসর্জনের এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ মো. মাহফুজুল ইসলাম ও র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক খায়রুল ইসলাম সরকার।