মোঃ মাসুদ রানা, প্রতিনিধি (নন্দীগ্রাম) ঃ- বগুড়ার নন্দীগ্রামে বেড়ে গেছে ভুয়া পশু চিকিৎসকদের দৌরাত্ম এতে করে সেবা পাওয়ার নামে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও সনদ বিহীন এসব পশু চিকিৎসক মোটর সাইকেলের পিছনে ব্যাগ ঝুলিয়ে পশু চিকিৎসকের পরিচয় দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের ছুটাছুটি চোখে পরার মত। বাড়িতে পশু পালনের জন্য যুব উন্নয়নের কয়েক দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে উপজেলা জুড়ে পশু চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই সকল ভুয়া পশু চিকিৎসকরা।
এমনকি প্রেসক্রিপশন লিখে সেখানে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করছে। অনেকেই নিম্ন মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরোলেও বর্তমানে তার পরিচয় পশু ডাক্তার। এই সকল ভুয়া পশু চিকিৎসকরা প্রথমে পরিকল্পিত ভাবে গ্রামের সহজ সরল ছোট বড় খামারিদের কাছে উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় সহ স্বল্পমূল্যে চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে ফোন নাম্বার বিতরন করে আসে।
পরবর্তীতে পশুর সামান্য রোগে বড় বড় রোগের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় পর্যাপ্ত টাকা। এই সকল ভুয়া চিকিৎসকদের আশ্রয়দাতা দাতা উপজেলার লাইসেন্স ও লাইসেন্স বিহীন ভেটেনারি ঔষধ দোকান মালিক ও বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি। দোকানের সামনে ব্যানার পোষ্টার তৈরি করে পশু চিকিৎসকের নামের তালিকা ও প্রয়োজনে যোগাযোগ লিখে এই সকল ভুয়া চিকিৎসকের নাম ও মোবাইল নাম্বার লিখে রেখেছে। এতেও প্রতারিত হচ্ছে সাধারন জনগন। এই সকল ভুয়া পশু চিকিৎসকের রয়েছে সংঘবদ্ধ চক্র। ঔষধ কোম্পানী ও ভেটেনারি ফার্মেসির মালিকদের সাথে যোগ সাজশে পশুর সামান্য রোগেও অতিরিক্ত ঔষধ লিখে পাঠানো হয় নির্দিষ্ট ঐসব ফার্মেসিতে। অপর দিকে এই সকল ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় কোন পশু মারা গেলে সবাই সংঘবদ্ধ ভাবে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসার বিষয়টি সামনে আসলে সংঘবদ্ধ ভাবে গোপনে ক্ষতি পূরন দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে। সরেজমিনে ঘুরে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উপজেলার অসংখ্য ভুয়া পশু চিকিৎসক রয়েছে। তারা বুঝে না বুঝে চিকিৎসা দিচ্ছে। যে কোন রোগে এন্টিবায়েটিক খাওয়ানোর পরার্মশ প্রদান করছে। এই ভাবে অতিরিক্ত এন্টিবায়েটিক খাওয়ানোর ফলে পশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছে রেজিষ্টার চিকিৎসকগণ।
এতে সেসব পশুর শরীরে সাধারন ঔষধের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এমন অনেক পশু ডাক্তার রয়েছে যারা রোগ র্নিণয় ও রোগের সঠিক নাম বলতে হিমশিম খায়। এসব ভূয়া পশু ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারণ জনগন। উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই উপজেলায় এইসব ভুয়া পশু চিকিৎসকের লিষ্ট তৈরি করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।