মঈন উদ্দিনঃ গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারাদেশে বিনামূল্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ, রাসায়নিক সার সহ আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত প্রণোদনার এই সার, বীজ ও অথের্র দ্বারা প্রায় ৩২ কোটি টাকারও বেশি গ্রীষ্ককালীন পেঁয়াজ বিক্রির সম্ভবনা রয়েছে বলে দাবি রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃপক্ষের।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. মাজদার হোসেন বলেন, সারাদেশে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি, আমদানি হ্রাস ও দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি কমিয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট থেকে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি কমানোর লক্ষ্যেই সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
জেলার এই কৃষি কর্মকর্তা জানান, চলতি খরিপ মৌসুমে (২০২২-২৩) গীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ২০২১-২২ অর্থ বছরের ‘কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা’ খাত থেকে বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ, সার ও অন্যান্য উপকরণসহ রাজশাহীর ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য দুই হাজার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও এক কোটি ৭৫ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় মোট ২ হাজার সুবিধাভোগী প্রান্তিক কৃষক পাবেন এই সরকারি প্রণোদনা।
তিনি আরও জানান, প্রণোদনার নীতিমালা মোতাবেক একজন কৃষক এক বিঘা জমির জন্য পাবেন এক কেজি পেঁয়াজের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ২০ কেজি এমওপি সার। এছাড়া চারা উৎপাদন খরচ বাবদ বিঘা প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা করে পাবেন। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে- পবায় ২৭০ কেজি, তানোরে ৭০ কেজি, মোহনপুরে ২০০ কেজি, বাগমারায় ২০০ কেজি, দুর্গাপুরে ৩০০ কেজি, পুঠিয়ায় ৩২০ কেজি, গোদাগাড়ীতে ২২০ কেজি, চারঘাটে ২০০ কেজি ও বাঘায় ২২০ কেজি করে মোট দুই হাজার কেজি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হবে।