ডেস্ক রিপোর্ট;
রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড
ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় বেঁচে ফিরেছেন ওই গাড়িতে থাকা নবদম্পতি। তারা হলেন বর হৃদয় (২৬) ও কনে রিয়া মনি (২১)।
এরই মধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাড়িটিতে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- রুবেল (৫০), ঝরণা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। নিহত অপর ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া উত্তরা পশ্চিম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরিফুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস।
উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ জানিয়েছে, প্রকল্পের জন্য নির্মিত গার্ডার ক্রেন দিয়ে সরানোর সময় হঠাৎ সেটি ঢাকা থেকে গাজীপুরের দিকে চলন্ত অবস্থায় প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে যায়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে উদ্ধারকর্মীরা প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিদর্শক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জানান, আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই শিশু, দুই নারী এবং একজন পুরুষ রয়েছে। এর আগে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেই আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গত ১৫ জুলাই গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের ‘লঞ্চিং গার্ডার’ চাপায় এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক ও একজন পথচারী আহত হন। এরপরও জননিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এবার আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটলো।